সিলেটের প্রাণ কেন্দ্র শাহজালাল উপশহরে অবস্থিত দি কুরআনিক হোম মাদ্রাসার হিফজ সমাপনকারী ছাত্রদের মধ্যে পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মাদরাসা মিলনায়তনে দি কুরআনিক হোম এসোসিয়েটস ইন্টারন্যাশনালের ভাইস চেয়ারম্যান সাবের আলী খান মুরাদের সভাপতিত্বে মাদরাসার প্রিন্সিপাল হাফিজ মাওলানা ফয়েজ আহমদ ও সহকারী শিক্ষক হাফিজ মোজাক্কির হোসেনের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফিজ আবিদুর রহমান।
হযরত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ হযরত মাওলানা কমরুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে অন্যতম বড় নেয়ামত। বিশেষত: হিফজে কুরআন। তাই শয়তানের কু-দৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য নেক আমল ও সচ্চরিত্র হওয়া একান্ত আবশ্যক। পাশাপাশি স্মরণ শক্তি বৃদ্ধির জন্য সুরা ফাতেহা তেলাওয়াতের গুরুত্বারোপ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দি কুরআনিক হোম এসোসিয়েটস ইন্টারন্যাশনাল’র প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা মুহাম্মদ মুঈন উদ্দিন বলেন, কুরআন শরীফ ভুলে যাওয়ার পরিণাম কী হবে? নবী করীম সা. বলেছেন, আমার উম্মতের নেক আমল আমার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এমন কি কেউ মসজিদ থেকে সামান্য খড়কুটাও বের করে ফেললে তাও। আর আমার সামনে আমার উম্মতের গুনাহ সমূহও তুলে ধরা হয়ে। অতএব আমি এর থেকে বড় পাপ দেখিনি যে, কোনো একটি সূরা বা আয়াত কোন ব্যক্তিকে দান করা হলো আর সে তা ভুলে গেলো।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হাফিজ মাওলানা মনজুর আহমদ, কুরআনিক হোমের সম্মানিত ডাইরেক্টর হাফিজ মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ফারুকী, মাওলানা শিহাব উদ্দিন আলীপুরী।
এ বছর মোট ১২ জন ছাত্রকে পাগড়ী, সনদ ও গাউন প্রদান করা হয়।
দি কুরআনিক হোম’র ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হাফিজ মাওলানা বশির উদ্দিন বলেন, ভালো হাফেজ হলেই শুধু চলবেনা হিফজের পর উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভালো মুহাদ্দিস- মুফাসসির হতে হবে, জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ডাক্তার- ইঞ্জিনিয়ার হয়ে দেশ ও জাতির সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হাফিজ মাওলানা আব্দুল মুক্তাদির আল আযহারী, হাফিজ আব্দুশ শুকুর, কুরআনিক হোম’র সিনিয়র শিক্ষক হাফিজ মাওলানা আব্দুল মুকিত, সহকারী শিক্ষক হাফিজ কাওসার আহমদ, হাফিজ আবু জাফর সুবের, হাফিজ জহিরুল ইসলাম, হাফিজ তাহমিদুর রহমান ও হাফিজ জুবায়ের হাসান সহ প্রমুখ।
Leave a Reply