মোঃ আনোয়ার হোসেন ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা গ্রামে ধর্ম বোন পাতিয়ে পরকিয়া প্রেমে আবদ্ধ হওয়ার জেরে আলামিন(৩২) নামের এক যুবককে জিবন দিতে হলো অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের হাতে ।
মৃত আলামিন ভবানীপূর কারিকর পাড়ার সফিউদ্দীনের ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে তাহেরহুদা গ্রামের ডুয়ার সামনে প্রধান সড়কের দক্ষীনপার্শে ধানলাগানো পানিডোবায় তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
আলামিনের বড় ভাই আলাউদ্দীন জানায়, বুধবার সন্ধারাতে সে বাড়ী থেকে কথিত ধর্মবোন চম্পার সাথে দেখা করার জন্য তার শশুরবাড়ী আন্দুলীয়া গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় , সে আর ফিরে আসেনি সকালে ডুয়ার পাশে রাস্তার ধারে তার লাশ পাওয়া যায়। চম্পা আন্দুলীয়া গ্রামের হাসিবুলের স্ত্রী , হাসিবুল ঐ গ্রামের আলতাফ মাষ্টারের ছেলে সে বর্তমানে মালোএশিয়াতে চাকুরীরত রয়েছে ।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে প্ররণ করেছে ।
জানাযায়৷, বুধবার সন্ধায় আলামিন আন্দুলীয়া গ্রামে গেলে ৪/৫ জন অজ্ঞাত ব্যাক্তি তাকে তাড়াদেয় আলামীন দৌড়ে পালানোর সময় তার মোবাইল ফোনটি রাস্তায় পড়েযায় , ঐ মোবাইলটি ভবানীপূর ফাড়ীর আইসি এসআই রফিকুল ইসলাম হাসিবুলের আপন ভাই হবু এর কাছথেকে উদ্ধার করে স্থানিয় ইউপি সদস্য এর জিম্মায় রাখে , পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হবু জানায় আলামিনের মোবাইল ফোনটি তার চাচাতো ভাই তারিক তাকে দিয়েছে , তারিক ফোনটি কোথায় পেলো জানার চেষ্টা চালায় সংবাদকর্মী ও পুলিশ এক পর্যায়ে জানা গেলো তাহের হুদা গ্রামের আসাদুলের ছেলে জাহিদুল ফোনটি তারিকের নির্দশনায় তাহেরহুদা বাজারের ঔষধ বিক্রেতা জুবায়ের ইসলাম স্বজলের কাছে পৌছে দেয় । স্বজল জানায় তারিক তাকে ফোনকরে বলে আমার মোবাইল ফোনটি সন্ধায় হারিয়ে গেছে , জাহিদুল নামের একটি ছেলে পেয়ছে সে তোমার দোকানে পৌছে দিচ্ছে , আমি এসে নিচ্ছি , জাহিদুল জানায় জোড়াদায় বলখেলা দেখে বাড়ী ফিরছিলাম আন্দুলীয় ব্রীজ পার হয়ে কড়ই তলায় পড়েথাকা ফনটির রিং বাজছিল আমি দাড়ীয়ে ফোন রিসিভ করি তখন তারিক নাম পরিচয় দিয়ে একজন পড়েথাকা ফোনটি আমার দাবীকরে জুবায়েরের ফার্মেসিতে পৌছে দিতে বলে ।
এদিকে মৃত আলামিনের মা ফিরোজা খাতুন , বাবা সফিউদ্দীন , বড় ভাই আলাউদ্দীন, বড় বোন সফুরা খাতুন ও ভাগ্নে মানিক জানায় , আলামিন সন্ধায় বাড়ীথেকে আন্দুলীয়া গ্রামে যাওয়ার পর রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটায় ইবি থানাধীন আড়পাড়া গ্রাম থেকে হসিবুলের স্ত্রী চম্পা খাতুনের বাবা মনি মিয়া এবং ভাই মানিক ভবানীপূরে তাদের বাড়ীতে আসে এবং আলামিনকে খোজকরে , তারা বলে রাত ১০টায় ৪ জন লোক তাদের আড়পাড়ার বাড়ীতে গিয়ে আলামিনের সাথে চম্পার ভাই বোনের সম্পর্কের অন্তরালে পরকিয়া প্রমের ঘটনা বলে আলামিনের মোবাইলে চম্পার সাথে তার কথপকথনের রেকর্ড শোনায় এবং ঝগড়াঝাড়ি করে চলে আসে । এর পর রাতভর তার বাড়ীর লোকজন আলামিনকে খুজতে থাকে । আলামিনের পরিবারের সদস্যদের ধারোনা অজ্ঞাত বলতে হাসিবুলের চাচাতো ভাই তারিক , তৌফিক , রানা এবং আপন ভাই হবু এই ৪ জন তাদের ছেলে আলামিনকে হত্যা করেছে এরাই ঐ রাতে আড়পাড়া গ্রামে চম্পার বাপের বাড়ীতে ঝগড়া করতে গিয়েছিল । এদিকে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(আইন ও প্রশাসন) আনোয়ার সাঈদ , সহকারী পুলিশ সুপার ( শৈলকুপা হরিণাকুণ্ডু) সার্কেল আরিফুল ইসলাম ঘটনা স্থল পরিদর্শন শেষে আলামিনের বাড়ীতে তার বাবা মা এবং বড় ভায়ের সাথে কথা বলে সন্তনা জানান হত্যাকারীর চিহ্নিত করত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আস্বাস জানান ।
এসময় থানা অফিসার ইনচার্জের সময়িক দ্বায়ীত্বরত ওসি (তদন্ত) এনামুল হক উপস্থিত ছিলেন। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা রুজুর প্রস্তুতী চলছিলো বলে জানা গেছে ।
Leave a Reply