মোঃ আমিনুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার।
সৌদি আরবে ফেচবুকেের মাধ্যমে এক বিশ্ব প্রতারক এক লাখ আত্মসাৎ করেছে। আজ থেকে প্রায় তিন বছর আগে ফেচবুকের মাধ্যমে নাম্বার সংগ্রহ করে ইমুতে কথা বলে। আমি মোঃ আমিনুল ইসলাম আমার কাজ থেকে এক লাখ টাকা নেয়। এই বিশ্ব বাটপারের গ্রামের বাড়ী কালিগন্জ থানায় নাম গোলাম সরোওয়ারদী বাবার নাম আব্দুল মজিদ এবং এই বিশ্ব বাটপার সৌদি হাফার আল বাতেন থাকেন। এই প্রতারক ফেচবুকে সহজ সরল মানুষকে আগে টার্গেট করে বিভিন্ন ভাবে কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়। সে বর্তমানে সৌদি হাফার আল বাতেন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি, এই বিশ্ব বাটপার দলের নাম ভাঙ্গিয়ে সহজ সরল মানুষের কাজ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আমি মোঃ আমিনুল
ইসলাম যখন ২০১৭ সালে পহেলা জানুয়ারি সৌদি আরব চলে যাই তার আট মাস পর ফেচবুকে এই বিশ্ব বাটপারের সাথে পরিচয় হয়। সে বলে ভাই আমি আওয়ামীলীগ সার্পোট করি তুমিও আওয়ামীলীগ সার্পোট করো আজ থেকে তুমি আমার ছোট ভাই, আমার কোন ভাই নেই তুমি আমার মার পেটের আপন ছোট ভাই,
সে আমাকে আরও বলে তুমি নতুন আসছো ভাই, আমি সৌদি আরব পনেরো বছর যাবৎ আছি ভাই, আমি আওয়ামীলীগের হাফার আল বাতেনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তোমার কোন সমস্যা হলে আমি তোমাকে দেখবো ভাই, এই সম্পর্ক সারা জীবন থাকবে এ ভাবে তিন মাস কথা বলার পর হঠাৎ আমাকে এক দিন বলে ভাই আমি খুব বিপদে পড়েছি, তুমি আমাকে, তোমার বাড়ী থেকে এক লাখ টাকা এনে দাও আমি তোমাকে সাত দিনের মধ্যে দিয়ে দিবো। আমি আমার ছেলেকে এক লাখ টাকার জন্য ফ্লাইট দিতে পারছি না ভাই। তুমি আমাকে রক্ষা কর ভাই এই বিপদ থেকে। আমি যদি দুই দিনের মধ্যে ছেলের ফ্লাইট না দিতে পারি তাহলে আমার ছেলের ভিসা কেন্ছেল করে দিবে কফিল। এই বিশ্ব বাটপারের মিষ্টি মিষ্টি কথা শুনে আমি আমার আব্বাকে বলি যে আব্বা আমার ১ লাখ টাকার খুই দরকার দুই দিনের মধ্যে টাকা না দিলে আমার খুবই বিপদ হবে তখন আমার আব্বা বিভিন্ন ভাবে টাকা টা জোগাড় করে কষ্ট করে আমাকে এক লাখ টাকা ২০১৭ সালে আগস্ট মাসের ৮ তারিখে দেয় এই বিশ্ব বাটপার গোলাম সরোওয়ারদীর একাউন্টে। টাকা নেওয়ার পরের দিন এই প্রতারক মোবাইল বন্ধ করে দেয়, তারপরেই আমি সৌদি হাফার আল বাতেন চলে যাই। ঐ খানে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীর কাছে খুলি বলি সব, তখন ওনারা বলে যে সে হলো বিশ্ব বাটপার তার কাজই হলো মানুষের কাজ থেকে বিভিন্ন ভাবে টাকা এনে আত্মসাৎ করা, ও মানুষের কাছ থেকে টাকা এনে এখানে টেইলার্সের দোকান দিছে এবং গোলাম সরোওয়ারদী সে ২/৩ টা বিয়ে করেছে। তাকে আমরা কয়েক বার আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কার করেছিলাম।কেন এই বিশ্ববাটপার কে টাকা দিয়েছেন, না জেনে। সৌদি হাফার আল বাতেনের আওয়ামীলীগের ১৫/২০ জন নেতা কর্মী গোলাম সরোওয়ারদী প্রতারককে নিয়ে সালিশ বসে সালিশে আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আবুল খায়ের ভাই গোলাম সরোওয়ারদী কে বলে আমিনুলের কাছ থেকে এক লাখ টাকা তুমি নিয়েছো সে টাকা তুমি কত দিনে মধ্যে তাকে দিয়ে দিবে তখন প্রতারক গোলাম সরোওয়ারদী বলে আমি তিন মাসের মধ্যে বাড়ী থেকে জমি বিক্রি করে এনে দিয়ে দিবো। সৌদি হাফার আল বাতেনের আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আবুল খায়ের ভাই ওনি খুবই ভালো মানুষ ওনি এরকম কয়েক বার সালিশ করে দিয়েছে নেতাকর্মীদের নিয়ে কিন্তু কোন লাভ হয়নি। সহ সভাপতি আবুল খায়ের ভাই ওনি আমাকে বলে, গোলাম সরোওয়ারদী ও টাকা দিবে না এখানে, আমরা সাক্ষী দিবো আপনি বাংলাদেশে গিয়ে টাকা ওঠাবেন। আজ প্রায় তিন বছর হয়ে গেলো আমি টাকা টা এই বাটপারের কাছ থেকে ওঠাইতে পারছি না। আমি আমার প্রতিটি রক্তের কণা থেকে আওয়ামীলীগকে ভালো বাসি এবং জাতির পিতার আদর্শকে বুকে ধারন করে চলার চেষ্টা করি। এই বিশ্ববাটপার আওয়ামীলীগ করে বলে আমি ওকে বিশ্বাস করে টাকা দিয়ে ছিলাম। এই সমস্ত প্রতারক দলে ডুকে আওয়ামীলীগের সুনাম নষ্ট করছে। আমি কালিগন্জ থানার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই প্রতারক কে আইনের আওতায় আনার জন্য। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
Leave a Reply