মোঃ মিজানুর রহমান মিলন, শাজাহানপুর ( বগুড়া )প্রতিনিধি: বাড়ির সামনে ব্যাটারিচালিত ভ্যান রাখাকে কেন্দ্র করে উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের ক্ষুদ্র ফুলকোট গ্রামে সাইফুল ইসলাম আকন্দ ওরফে সয়ফল(৪২) নামে এক ভ্যান চালককে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে কয়েক প্রতিবেশী। সে ওই গ্রামের মৃত কোরবান আলীর ছেলে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে এই ঘটনায় সাইফুলকে মুমূর্ষ অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার ভোর আনুমানিক সোয়া ছয়টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহতের স্ত্রী ছাড়াও এক ছেলে ও মেয়ে সহ মোট ৪ টি সন্তান রয়েছে। মারপিটের ঘটনার পরদিন ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার নিহতের বড় ভাই ফয়সাল আকন্দ বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় ওই গ্রামের গোলাম প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল খালেক (৬৫), আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুল জব্বার (৩৫) এবং নুরুল ইসলামের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩০)। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরো সাতজনকে। নিহতের ছেলে শহীদ বাবু (১৬) জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার পিতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে আসামিরা। রাস্তায় ভ্যান রাখাকে কেন্দ্র করে নির্মমভাবে তার পিতাকে জীবন দিতে হবে তা কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি। বাবা সাইফুলের একক আয়ে তাদের পুরো পরিবার চলতো। বড় বোনের বিয়ে হলেও ছোট দুটি বোন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। তাদের লেখাপড়াও এখানেই শেষ হয়ে গেল। তার পিতার হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। আব্দুল খালেক এবং শহিদুল ইসলাম এর বাড়ির পুরুষেরা সবাই পলাতক। বাড়ির মহিলাদের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা কিছু জানেন না বলে জানান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
Leave a Reply