আহম্মেদ জাহিদ লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি। দুই বোনের এক স্বামী। এ যেনো সিনেমাকে ও হার মানায়। অবিশ্বাস্য হলে ও ঘটনা সত্য।তাও আবার আমাদের রায়পুর পশ্চিমাঞ্চলের ২ নং চরবংশী তে।জানা যায়,১০ বছর আগে লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউপির যুবক সোহেলের সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয় দক্ষিণ চরবংশী ইউপির চরকাসিয়া গ্রামের মিয়ার হাটের আমির হোসেনেরে(৫৫) মেয়ে সালমা (২৬) আক্তারের সাথে।সালমার ঘরে দুটি মেয়ে ও ৫ দিনের একজন ছেলে শিশু রয়েছে।
সালমা আক্তার বেশীরভাগ সময়ই বাপের বাড়িতে থাকতেন।এই সুবাধে স্বামী সোহেল শ্বশুর বাড়িতে প্রায় আসা যাওয়া করতেন।সোহলে পেশায় একজন জেলে। সোহেলের কুনজরে পড়েন স্কুল পড়ুয়া ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী শালিকা কাজলী আক্তার(১৪)।পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়েন শালিকা কাজলী আক্তার ও তার দুলাভাই সোহেল।
এনিয়ে স্থানীয়দের মাজে জানাজানি হলে তিন মাস আগে দফায় দফায় শালিস হয়।শালিসের কয়েকদিন পর কাজলী আক্তারকে নিয়ে উধাও হয়ে যান তার দুলাভাই সোহলে।
শুক্রবার (০৪ নভেম্বর) উত্তর চরবংশী ইউপির মৃধাকান্দি গ্রামের গাজি বাড়িতে সোহলের নিজ ঘরে স্থানীয় জনসাধারণের হাতে ধরা পড়েন সোহেল ও তার শালিকা কাজলী।পরে হাজীমারা ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পৌছায়।পুলিশ ও জনসাধারণের সামনে সোহল ও তার শালিকা কাজলী নিজেদের স্বামী-স্ত্রী বলে দাবি করেন।তবে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি দুজনই।
ঘটনার সময় কাজলী আক্তার বলেন,সোহেল আমরা বড় বোনের স্বামী।এখন আমরা দুজন স্বামী-স্ত্রী।তিন মাস আগে ঢাকায় কাজীর মাধ্যমে বিয়ে হয়।তিন মাস যাবত সোহেল আমার সাথে সংসার করতেছে।কয়েকবার শারীরিক মেলামেশা হয়েছে।সর্বশেষ তিনদিন আগে ঘটনাস্থলে শারীরিক সম্পর্ক হয়।বিয়ের কোনো কাগজ আছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে কাজলী বলেন, সোহেল আমাকে মারার কারনে আমি কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলে দেই।
অভিযুক্ত সোহেল বলেন, আমরা দুজন স্বামী-স্ত্রী।তিন মাস আগে আমাদের ঢাকায় বিয়ে হয়।কাজলী বড় বোন সালমা আপনার কী হয়? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, সালমাও আমার স্ত্রী।
এদিকে সোহেলের স্ত্রী সালমা জানান,তার দুটি মেয়ে রয়েছে।দীর্ঘদিন যাবত কোনো খোজ খবর নেয় না সোহেল। মাছ তার বোন কাজলী আক্তার ও সোহেলের পরকীয় প্রেমের বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার শালিস হয়।মাছ শিকারের জন্যে মাওয়া আছেন সোহেল জানান।
শালিসের কয়েকদিন পরই দুজনই উধাও হয়ে যায়।গতকাল শুক্রবার রাতে জানতে পারি কাজলী ও সোহেল দুজনকে একসাথে স্থানীয়রা ধরেছে।
কাজলীর মা হালিমা বলেন,কয়েক মাস আগে কাউকে কিছু না বলে ঢাকায় চলে যায় কাজলী।পরে শুনি গার্মেন্টসে কাজ করতেছে।কিছুদিন আগে বাড়িতে একবার এসে আবার চলে গিয়েছে।গতকাল রাতে জানতপ পারি কাজলী সোহেলের সাথে একসাথে আছে।
এবিষয় রায়পুর-রামগঞ্জ জোনের এএসপি স্পীনা রানী প্রামাণিক জানান,রামগঞ্জের মিটিংয়ে ছিলাম। ফাঁড়ির আইসি আমাকে ফোন দিয়েছিল।তবে বিষয়টি সম্পর্কে ক্লিয়ারভাবে সম্পূর্ণ অবগত নয়।
সূত্রঃ দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ।
Leave a Reply