বিধান কুমার বিশ্বাস।
রাজবাড়ী-ফরিদপুর রেলওয়ে আঞ্চলিক সড়কের পাশে খানখানাপুর বাজার এলাকায় রেলওয়ের জমি দখল করে গড়ে উঠছে একের পর এক পাকা স্থাপনা।
জানা গেছে, উপজেলা সদর খানখানাপুর বাজারের প্রাণকেন্দ্র রেল লাইন সড়কের পাশে রেলওয়ের প্রায় এক একর জমি দখলে নিয়ে আজাদ ডাক্তার পাকা মার্কেটসহ ‘স’ মিল (করাত কল) নির্মাণ করে ভাড়া আদায় করে আসছে। পাকিস্থান আমলে ওই জমি অধিগ্রহণ করে রেল লাইন সড়ক নির্মাণ করে রেলওয়ে কোম্পানী। সম্প্রতি, ওই জমি দখল করে আরোও একটি আরসিসি পিলার দিয়ে একতলা বিল্ডিং নির্মাণ করা হচ্ছে। ভূমি খেকো আজাদ ডাক্তারের দখলে আরো বেশকিছু রেলের জমি রয়েছে। যা তিনি ক্রমানয়ে দোকান নির্মাণ করবেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। রাজবাড়ী রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের কানুনগো সাজ্জাদুল ইসলামের সঙ্গে ডাক্তার আজাদের রয়েছে গভীর সখ্যতা। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে কানুনগোর ভাগ্য খোলে,সম্প্রতি দৈনিক বাঙালী সময় পত্রিকায় এবং জনতার মেইল ডটকম ওয়েব সাইড পত্রিকায় ডাক্তার আজাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই সুবাদে কানুনগো সাজ্জাদুল ইসলাম মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মর্মে এলাকাবাসী দাবী করেন। স্থানীয় রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি অফির কর্তার ইশারা পেয়েই আজাদ ডাক্তার একতলা বিল্ডিংয়ের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও তাদের দাবী। স্থানীয় বাজারগুলোর পাশদিয়ে বয়ে যাওয়া রেলওয়ের জমিগুলো দখলদারদের ছোবলে একের পর এক সংকুচিত হচ্ছে। যার সর্বশেষ নিদর্শন খানখানাপুর ইউনিয়নের আওতাধীন খানখানাপুর রেল ষ্টেশনের ঠিক সামনেই আজাদ ডাক্তারের পাকা মার্কেট নির্মাণসহ এক একর সম্পত্তি দখল।
স্থানীয় লোকজন জানায়, হোমিও ডাক্তার আজাদ রেলওয়ে সম্পত্তি দখল করে একটি “স” মিলসহ প্রায় ১৫/২০টি পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে। ইদানিং রাজবাড়ী রেলওয়ে প্রশাসনের নীরব ভূমিকার সুযোগ গ্রহন করে আরসিসি পিলার দিয়ে একতলা বিল্ডীং নির্মাণ করা হচ্ছে।
বির্ল্ডীং নির্মাণের ব্যাপারে আজাদ ডাক্তারের নিকট জানতে চাইলে, রেলওয়ের লিজ আছে জানালেও তিনি লীজের কাগজ-পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। কানুনগোর সাথে তার সখ্যতা রয়েছে, বিল্ডিং নির্মাণের ব্যাপারে কানুনগো জানেন মর্মে তিনি দাবী করেন।
এ ব্যাপারে, রেলওয়ে রাজবাড়ীর কানুনগো সাজ্জাদুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে, গত ৫/১১/২০ইং তারিখে কানুনগো সরেজমিনে গিয়েছিলেন, পাকা একতলা আরসিসি বিল্ডীং নির্মাণের ঘটনা সত্য বলে তিনি স্বীকার করেন। ডাক্তার আজাদকে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, তিনি তা মানছেন না, আগামী (০৮/১১/২০ইং) কালই সদর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে শুনানী দেন। কিন্ত অদ্যবধি দখলদারের বিরুদ্ধে তিনি কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেন নাই বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, রেল কোম্পানীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন অনুযায়ী একটা নির্দিষ্ট দুরাত্ব পর্যন্ত সব সময় ১৪৪ ধারা জারি থাকে। অথচ একশ্রেনীর প্রভাবশালীরা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে রেলকে বিপদজনক পরিস্থিতির মূখে ঠেলে দিচ্ছে। রাজবাড়ীর রেলওয়ে অধীনে কমপক্ষে ১০ হাজার একর জমি বিভিন্ন দখলবাজরা দখল করে রেখেছে। পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে রেলয়ের একটি সূত্রটি দাবী করেন। জরুরী ভিত্তীতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সরকারী সম্পত্তি দখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট রেল কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকাবাসী জোর দাবী জানান।
Leave a Reply