ডেস্ক রিপোর্ট
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ার সাত নম্বর ওয়ার্ডের ঝিকুড়খালি এলাকায় দু’টি অর্ধদ’গ্ধ দেহ উ’দ্ধার হয়। এরপর ত’দন্ত করে পু’লিশ জানতে পারে, ওই দেহ দু’টি রিয়া এবং রমা নামে দুই মহিলার। এবং ওরা স’ম্পর্কে মা এবং মে’য়ে।
এরপর একে একে প্রথমে মনজুর আলম নামে একজনকে গ্রে’প্তার করে। তাকে জেরা করেই একে একে সামনে আসে সাদ্দাম হোসেন, শুকদেব দাস এবং আমিনুর হোসেনের নাম। তাদের প্রত্যেককেই জেরা করে পু’লিশ।
ধৃতদের জেরা করে নতুন নতুন তথ্য হাতে আসে ত’দন্তকারীদের। সাথেই ত’দন্ত করতে নেমে রিয়া লেখা একটি ডায়রিও উ’দ্ধার করে পু’লিস। আর সেই ডায়রিতে এবার এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সেই চাঞ্চল্যকর তথ্য বলা হয়েছে, মে’য়েকে বিয়ে করার পরেও মায়ের সঙ্গে শারীরিক স’ম্পর্ক চালিয়ে যেতে সাদ্দাম । সেই ডায়রিতে আরও লেখা রয়েছে, অষ্টম শ্রেণিতে পড়তে পড়তেই সাদ্দামের সঙ্গে স’ম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রিয়া। দুর্গাচকের নিউ কলোনিতে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকত সাদ্দাম। সেখানে প্রায়ই আসা যাওয়া লেগে থাকত রিয়া এবং তাঁর মা রমা’র।
কয়েকদিন প্রে’মের পর ২০১৮ সালে আইন মেনে বিয়েও করেন রিয়া এবং সাদ্দাম। বিয়ের পরেই রিয়া তাঁর মাকেও স’ন্দেহ করতে শুরু করেন। ভাবতে শুরু করেন, তাঁর মা রমা ক্রমশ সাদ্দামের কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছেন। সাদ্দামের সঙ্গে মায়ের ঘনিষ্ঠতা ভাল চোখে মোটেও দেখছিলেন না রিয়া। হাবেভাবে বারবার সেকথা মাকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন রিয়া।
এদিকে, পু’লিশের দাবি, রিয়াকে বিয়ে করার পরেও মায়ের সঙ্গে স’ম্পর্ক ছিল সাদ্দামের। তার ফলে ক্রমশই রিয়া, তাঁর মা রমা এবং সাদ্দামের স’ম্পর্কের জটিলতা তৈরি হয়। সেই জটিলতা কা’টাতেই মা-মে’য়েকে খু’নের ছক কষে সাদ্দাম।
হলদিয়ার দুর্গাচকের ভাড়াবাড়িতে ডেকে পাঠানো হয় তাঁদের। খু’নের আগে রিয়াকে ধ’র্ষণের চেষ্টাও করা হয়। তবে ধ’র্ষণের হাত থেকে বাঁচতে দোতলার ছাদ থেকে নিচে ঝাঁপ দেন ওই তরুণী।
চোখের সামনে মে’য়েকে ঝাঁপ দিতে দেখে শান্ত থাকতে পারেননি মা রমা’ও। তিনিও চি’ৎকার করতে শুরু করেন। তাই সেই মুহূর্তেই রিয়া এবং রমাকে গলা টিপে শ্বা’সরোধ করে খু’ন করে সাদ্দাম। খু’নের পর প্রমাণ লোপাট করতে দু’জনের দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এদিকে, এই ঘটনায় আমিনুর হোসেন নামে আরও একজনকে মুম্বইয়ের গোরেগাঁও থেকে গ্রে’প্তার করা হয়েছে।
Leave a Reply