আবু ইউসুফ নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ছবি-১ঃ আহত সাংবাদিক মিজানুর রহমান ছবি-২ঃ আহত সাংবাদিক মুজাহিদ মুন্না মেহেরপুরে দুই সাংবাদিককে পিটিয়ে জখম করে ক্ষমা প্রার্থনা -মেহেরপুরে প্রবীন সাংবাদিক মিজানুর রহমান ও দৈনিক মানবকন্ঠের জেলা প্রতিনিধি মুজাহিদ মুন্নাকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেছে শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুল আলম মিথেনের নেতৃত্বে জমি দখল বাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় সাংবাদিকরা উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। দৈনিক মানবকন্ঠের জেলা প্রতিনিধি মুজাহিদ মুন্না জানান, মেহেরপুর সদর উপজেলার পোপালপুর গ্রামে আমার চাচা শ্বশুর আতিয়ার রহমান পিন্টুর জমি রয়েছে। সেই জমির পেছনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাড. ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েলের জমি রয়েছে। তিনি সেই জমিতে যাতায়াতের জন্য জোর করে পথ চায়। কিন্তু তিনি সেপথ না দেওয়ায় আজ মঙ্গলবার সকালে মিথেনের নেতৃত্বে সালাম, রিয়াদ, তপন সহ জমি দখল বাহিনী ওখানকার স্থাপনা ভাংচুর করে আসে। এরপর মিথেনের মোবাইল নম্বর থেকে আমার শ্বশুরকে মেহেরপুরে এসে দেখা করতে বলে। আমি ও আমার চাচা শ্বশুর পিন্টু তাদের সাথে দেখা করে বিষয়টা নিয়ে কথা বলি। এ সময় মিথেনের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক আমাদের রাস্তা ছেড়ে দেবার জন্য চাপ দেয়। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে তারা আমাকে বেধড়ক মারধর করে। এর পরে আমি সেখান থেকে পালিয়ে এসে আমার চাচা সিনিয়র সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে নিয়ে বড় বাজারে আজিম মেডিকেল হলের সামনে আসলে পুনরায় আশরাফ, শফিকুল সহ ১০/১২ জনের একটি দল আমার চাচা সহ আমাকে আবারও বেধড়ক মারপিট করে। পরে আমি কোন রকমে পালিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে যেয়ে আমার চাচা সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে। পরে মেহেরপুর বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম খোকন ও মেহেরপুরের সিনিয়র সাংবাদিক তুহিন আরণ্য’র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের একটি দল সেখানে বিষয়টি নিয়ে বসে। পরে অভিযুক্ত মিথেনের ফোন কল ধরে তাকে ডাকা হলে সে দোষ শিকার করে বলেন, আমি অ্যাড. ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েল ভাইয়ের নির্দেশে ওখানে গিয়েছি। এরকম আমাদের কাছে অনেকজন আসে আমাদের সমাধান করতে হয়। এ বিষয়ে বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম খোকন বলেন, এটা একটা অন্যায় কাজ এভাবে কাউকে মারা ঠিক হয়নি। এর বিচার আমরা করবো। এর পরে এ দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায মেহেরপুর প্রেসক্লাবে দুই পক্ষকে নিয়ে সাংবাদিক মহল বসে, এক পর্যায়ে অভিযোগকারীরা সাংবাদিক মিজানুর রহমান ও মুজাহিদ মুন্নার হাত পা চেপে ধরে ক্ষমা চাই। এ সময় মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু বলেন, ঘটনাটিতে আমরা মর্মাহত। এভাবে কোন সাংবাদিককে মারধর করা কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ করতে পারে না। মেহেরপুর প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা সিনিয়র সাংবাদিক তুহিন আরণ্য বলেন, কাজটি মোটেই ভালো হয়নি। আজকের মত সাবধান করে দিচ্ছি এরপরে এরকম কিছু হলে ছাড় দেওয়া হবে না। মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আলামিন হোসেন বলেন,এরকম ঘটনা যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। এ সময় মেহেরপুর প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সিনিয়র সাংবাদিক জি. এফ মামুন লাকী বলেন,আজকের যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্ত জঘন্য মনমানসিকতার পরিচয় দেওয়া হয়েছে, আর যারা করেছে তাদের আমরা খুব ভালো করে চিনি,এদের ব্যপারে আমি মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতিকে জানিয়েছি, আজ আবার বলছি এবং মেহেরপুর বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম খোকনের উদ্দেশ্যে সাংবদিক লাকী বলেন, আপনার নাম ভাঙ্গিয়ে শহরের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে আপনার এলাকার কিছু মানুষ, তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষকে তুলে নিয়ে এসেছে টাকার জন্য, এ ছাড়া হুমকি এবং থানা পুলিশের ভয় দেখাচ্ছে,বিভিন্নভাবে মানুষকে জিম্মি করে তাদের ফায়দা লুটছে, আপনাকে অনুরোধ করছি আপনি এদেরকে চিহ্নিত করুন না হলে এদের করণে আপনি আরো বড় বিপদে পড়ে যাবেন।
Leave a Reply