রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেছেন, এখন আমরা করোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ অতিক্রম করছি। তাই যাতে কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত না হই সেজন্য আমাদের মাস্ক পরতে হবে। যাতে আমরা সুস্থ থাকতে পারি। আমাদের সুস্থ থাকতে মাস্ককে ভ্যাকসিন হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। তাই অবহেলা না করে সুস্থ থাকতে মাস্ক পরি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহানগরীতে মাস্ক বিতরণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত কর্মসূচিতে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার সকালে মহানগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।
‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ বিষয়ে আব্দুল জলিল আরো বলেন, আমরা সব সরকারি দপ্তর ও বিপণীবিতানগুলোতে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ কার্যক্রম চালু করেছি। এই কার্যক্রম চালু রাখতেও আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। যাতে কেউ মাস্ক না পরে বিপণীবিতানগুলোতে না আসে।
এসময় রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন ও সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মকর্তারা জিরোপয়েন্ট এলাকায় বিপণীবিতানগুলোতে গিয়ে নগরবাসীকে মাস্ক পরার বিষয়ে সচেতন করেন এবং কয়েকজনকে মাস্ক পরিয়ে দেন। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জনগণকে সচেতন করতে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এসময় সিভিল সার্জন এনামুল হক বলেন, করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় আমরা সবধরনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রথম দফায় রোগী বাড়লেও হাসপাতালের বেড ওভারফ্লো হয়নি। মাঝখানে কিছুটা শিথিলতা আসলেও এবার আমাদের পর্যাপ্ত আইসিইউ বেডসহ অন্যান্য সুযোগসুবিধা পর্যাপ্ত আছে। ফলে এবার করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তারপর আমাদের চেষ্টা থাকতে হবে যাতে করোনা আক্রান্ত না হই। এ জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত।
এর আগে মহানগরীর জিরোপয়েন্ট এলাকায় মাস্ক পরিধান না করে চলাফেলার দায়ে কয়েকজনকে জরিমানা করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
Leave a Reply