মোঃ রনি আহমেদ রাজু জেলা প্রতিনিধি
মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নের নন্দলালপুর গ্রামে ফসলের জমিতে সেচের পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার ১৬ই নভেম্বর আনুমানিক সকাল ৮টার সময় কথা কাটাকাটির জের ধরে উভয়পক্ষ উত্তেজিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে শান্ত হয়ে উভয় পক্ষ যার যার বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে চলে যাওয়ার পরে রাত আনুমানিক ৯.৩০ টার সময় বাড়ির পাশে তিন রাস্তা মোড়ের চায়ের দোকানে জাকির হোসেন লিটন (৫৫) পিং মুন্সি মনছুর আহমেদ এর একমাত্র ছেলে বসে চা খাচ্ছিলো। ঐ সময়ে হঠাৎ করেই ১০/১২ জনের সন্ত্রাসীর একটি দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে লিটনের উপর এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তখন সে নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার পথে নিজ বসতবাড়ির লিচু গাছের নিচেই আসলে ১নং আসামী শরিফুল ইসলাম শরীর নেতৃত্বে ২নং আসামী মিজান এর সহায়তায় ১০/১২ জন এবং আরও অজ্ঞাত আনুমানিক ১৫ থেকে ২০জনের সন্ত্রাসীদের দলকে সাথে নিয়ে দুই পা গাছের ডালের উপর চেপে ধরে ধারালো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে দুই পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করতে থাকে। ছমিরুল, মিলন ঠেকাতে আসলে তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দুই জনকে হাত ও পায়ের রগ কেটে ফেলে। পরবর্তীতে লিটনের ছোট বৌ ঠেকাতে আসলে তাকে রুমের ভিতরে নিয়ে বিভিন্ন গোপন অঙ্গ চেপে ধরে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। এ সময় তার চিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন ছুটে আসলে লিটনের মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
গ্রামের লোকজন ঘটনা স্থলে এসে জাকির হোসেন লিটনসহ ছমিরুল, মিলন ও হেলেনাকে দ্রুত মাগুরা ২৫০শয্যা মেডিকেল হাসপাতালে আনা হলে। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাকির হোসেন লিটনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পথিমধ্যে আনুমানিক সাড়ে এগারোটার সময় এ্যাম্বুলেন্সের ভিতর মৃত্যুবরণ করেন। গ্রামের লোকজনের কাছে মৃত্যুর খবর পৌছালে গ্রামের মানুষ হত্যাকারীদের শাস্তি ও মৃত্যুদন্ডের দাবী জানায়।
Leave a Reply