ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ লিটন খান
মহাদেবপুরে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাড়িতে কান্নার রোল। সরেজমিনে গেলে প্রতিবেশীরা কান্না জড়িত কণ্ঠে প্রতিবেদকদের জানান, ওয়াহিদা এলাকার গর্ব। সে ছোট বেলা থেকেই এখানে খেলাধুলা করে মানুষ হয়েছে। লেখাপড়ায় অত্যন্ত ভাল ছিলেন। প্রতিবেশীরা তাকে খুব ভালোবাসতেন। গত সোমবার এখান থেকে তার কর্মস্থলে যোগদান করেন। তার উপর সন্ত্রাসী হামলা হওয়ায় তারা হতভম্ব। তারা দ্রুত এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলায় তার সরকারি বাসভবনে স্থানীয় যুবলীগ সন্ত্রাসী দ্বারা নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। তার সাথে থাকা মুক্তিযোদ্ধা বাবাকেও আঘাত করা হয়েছে। এদেশে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা নিরাপদ নয়। সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীরাও নিরাপদ নয়। সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? এটিই গ্রামবাসীর হৃদয়ের প্রশ্ন।
সরকার ব্যবস্থা করবে কিনা এ নিয়ে তারা সন্দিহান। তার প্রথম চাকুরী উপজেলার দোহালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকর্মী মামুন, রায়হান ও রুবেল জানান, তিনি যখন তাদের সাথে সহকর্মী হিসেবে ছিলেন তৎসময়ে প্রতিষ্ঠানটি উৎসব মুখর থাকতো।এরপর ওয়াহিদা ৩১তম বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে রংপুরে যোগদান করেন।
সর্বশেষ ঘোড়াঘাটে ইউএনও হিসাবে যোগদানের পর নির্মম সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলেন। যদিও তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তারপরও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারবেন কিনা এ নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গ্রামবাসী মোশারফ, রিপন ও শ্রীকান্ত জানান, ওয়াহিদা চার ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয়। বড় বোন নাটোরে রূপালী ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। ভাই ওসি তদন্ত হিসেবে বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলায় কর্মরত।ছোট ভাই পুলিশের সিপাহি হিসেবে কর্মরত। পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। গ্রামবাসীরা তার সুস্থতার জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।
Leave a Reply