1. sylhetmohanagarbarta@gmail.com : সিলেট মহানগর বার্তা :
শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
প্রধান খবর:
মানবিক সাহায্যের আবেদন বাঁচতে চায় ৮ বছর বয়সী শিশু রিয়া মনি সাংবাদিক গোলজারের মায়ের ইন্তেকাল, দাফন সম্পন্ন,আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া কবি মুহিত চৌধুরীর জন্মদিন আজ ওসমানী হাসপাতালের কর্মচারীরা ওয়ার্ড মাষ্টার রওশন হাবিব ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী আব্দুল জব্বারের হাতে জিম্মি সাংবাদিক তাওহীদকে প্রাণনাশের হুমকিতে অনলাইন প্রেসক্লাবের উদ্বেগ সিলেটে সাংবাদিক তাওহীদুল ইসলামকে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি লিডিং ইউনিভার্সিটি থেকে পেশাগত অসদাচরণের দায়ে স্থপতি রাজন দাস চাকুরিচ্যুত নবগঠিত ২৮, ২৯, ৩০,৪০, ৪১ ও ৪২ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও যুগ্ম আহবায়কের নাম ঘোষণা গোলাপগঞ্জ উপজেলার উন্নয়ন মেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গেয়ে মাতিয়েছেন হিল্লোল শর্মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা’র ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মসূচী

বিদ্যুৎ বিল কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রেখেই সরিষাবাড়ী পৌরসভায় ৭টি স্থায়ী নিয়োগ ॥ কোটি টাকা বাণিজ্য

  • প্রকাশিত: রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ১৬২ বার পড়া হয়েছে

মাসুদুর রহমান -জামালপুর জেলা প্রতিনিধি

জামালপুরের সরিষাবাড়ীর পৌর মেয়র রুকুনুজ্জামান ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দায়িত্বভার গ্রহণের পর ক্ষমতার অপব্যবহার,নানা দুর্নীতি ও অপকর্ম সহ নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও শোরগোল চলছে। মেয়রের এই আচরণে ক্ষুব্ধ পৌর নাগরিক ও কাউন্সিলররা । এ নিয়েও কানাঘুষা চলছে। এছাড়া কৃত্রিম জনবল সংকট দেখিয়ে নীতিমালা উপেক্ষা করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ না করেই ২০১৭ সালে পাঁচটি ও ২০১৯ সালে ২টি স্থায়ী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সরিষাবাড়ী পৌরসভা সুত্রে জানা গেছে , সরিষাবাড়ী পৌরসভার কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল, কাউন্সীলরদের সম্মানী ভাতা ,কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১২ মাস বেতন বকেয়া গোপন রেখে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ে কর্মচারী নিয়োগের জন্য (স্মারক নং-১৪৫,তারিখ-৩১-৫-২০১৬) ভুয়া তথ্য প্রেরণ করে মেয়র রুকনুজ্জামান রুকন সেই তথ্যে ১২ জুলাই স্থানীয় সরকার বিভাগ স্মারক নং-৪৬.০০.০০০০.০৬৪.১১.০৯২.১৫/৭২১ থেকে সহকারী সচিব এ,কে,এম আনিছুজ্জামান এর স্বাক্ষরিত ৪টি পদে (পদ শুন্যতা সাপেক্ষে) ৫ জন কর্মচারী নিয়োগের নির্দেশক্রমে ছাড়পত্র প্রদান করে। বিধি মালা লঙ্গন করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ না করেই ১৫ লক্ষ টাকা করে জন প্রতি নিয়ে ৫ টি স্থায়ী নিয়োগ দিয়েছেন মেয়র রুকন ।স্থানীয় সরকার বিভাগের স্মারক নং-৪৬.০৬৩.০৩১.০৮.০০.০০২.২০১১-১১৭৫ সুত্রে ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম টুকনের স্ত্রী মেয়র রুকনের ভাবী উম্মে সাইয়েদাতুন নেছাকে হিসাব সহকারী,নলদাইর গ্রামের আজহারুল ইসলাম এর ছেলে আনোয়ার পারভেজকে নি¤œমান সহকারী কাম-মুদ্রাক্ষরিক,মাদারগঞ্জ উপজেলার কয়ড়া গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে জামাল উদ্দিনকে সহকারী কর আদায়কারী,মধুপুর উপজেলার জলছত্র গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে নাহিদা আক্তার রিপাকে সহকারী কর আদায়কারী,বাউসী বাঙ্গালী গ্রামের হাদিউজ্জামানের মেয়ে ইসরাত জাহানকে সহকারী কর নির্ধারক পদে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।পৌর কর্মচারী নিয়োগের সময় একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শিহাবকে নিয়োগের জন্য দলীয় নেতৃবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধারা মেয়রকে সুপারিশ করলে ১৩ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি মেটাতে না পারায় সে নিয়োগ হয়নি। যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সন্তান। এ ছাড়াও ।স্থানীয় সরকার বিভাগের স্মারক নং-৪৬.০৬৩.০৩১.০৮.০০.০০২.২০১১-১১৭৫ সুত্রে ২০১৯ সালের ২৬ জুন বীর বড়বাড়িয়া গ্রামের আব্দুল হক এর মেয়ে সাদেকুন্নাহারকে লাইসেন্স পরিদর্শক, অফিস সহায়ক পদে একজনকে নিয়োগ করা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেয়রের অবৈধ নিয়োগের এক কর্মচারী বলেন, ২৬ লক্ষ টাকা উৎকোচ দিয়ে নিয়োগ নিয়েছি ভাই । এমন কাজ করবেন না যাতে আমাদের সমস্যায় পড়তে হয় । এ বিষয়ে কাউন্সীলর কালা চান পাল বলেন , শুধু নিয়োগ নই তার অহরহ দুর্নীতি ও অপকর্ম পৌরসভায় রয়েচে। আমরা পৌর পরিষদ তাকে অনাস্থা দিয়েছি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের এক কর্মচারী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা বেতন না পেয়ে ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে পারছি না। আর তিনি নিয়োগ বাণিজ্য,দুর্নীতি সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রেখে মেয়র নিয়োগ করতে পারে কি ? এতে করে মেয়রের এমন জঘন্য কর্মকান্ড দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে পৌরবাসী বলে একাধিক কর্মকর্তা ও কাউন্সীলররা জানান। সরিষাবাড়ী পৌরসভার সচিব আবু সাইদ জানান,মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ না করেই নিয়োগ সম্পন্ন মেয়র সাহেব নিজেই করেছেন। তার ভাবীর বিষয়টা প্রথমে গোপন থাকায় সেটা বুঝতে পারেনি । পরে শুনেছি। কথা হলে সরিষাবাড়ী পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলী জানান ,আমরা নামে মাত্র নিয়োগ কমিটির সদস্য ছিলাম । মেয়র সাহেব তার ইচ্ছা মত নিয়োগ দিয়েছেন , সে সময় প্রতিবাদ করেছিলাম কিন্তু কোন ফল আসেনি । তবে তার দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে আমরা সকল কাউন্সীলররা তাকে অনাস্থা দিয়েছি। সরিষাবাড়ী পৌর মেয়র রুকনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: এন আর