মোঃ সিরাজুল হক রাজু স্টাফ রিপোর্টার।
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার মাধ্যমিক পাশ ও সমপর্যায়ের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য মেধা ও অস্বচ্ছলতা ভিত্তিক মরহুম সৈয়দ আকবর হোসেন ও হালিমা বেগম বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম ২০২০ এর কার্যক্রম ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। অর্থের অভাবে শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত দরিদ্র, মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমিক পরবর্তী শিক্ষা প্রসারে অবদান রাখার লক্ষ্যে লবনসারা নিবাসী একটি পরিবার তাঁদের প্রয়াত পিতা ও মাতা মরহুম সৈয়দ আকবর হোসেন ও হালিমা বেগম এর মধুর স্মৃতির স্মরনে তাদের নামে গত বছর ২০১৯ থেকে এ শিক্ষা বৃত্তি চালু করেছেন। গত বছরের ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর তাদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এ বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে এবং এ বছর ও ২০ জনকে এই শিক্ষা বৃত্তি দেয়া হবে। গত বছর বানারীপাড়া উপজেলা মিলনায়তন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষকবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বানারীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজের ২২ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে দুবছরের পড়াশুনার খরচ নির্বাহের জন্য এই শিক্ষা বৃত্তি দেয়া হয়। এ বছর শিক্ষা বৃত্তি দেয়ার পদ্ধতি বৃত্তি প্রদানকারী উদ্যোক্তাগন গত বছরের থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম করেছেন । ১. এ বছরে বানারীপাড়া উপজেলায় মাধ্যমিক ও সমপর্যায়ের পরীক্ষায় মেধা তালিকায় GPA 5 প্রাপ্ত মোট ৫৪ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০ জনকে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত করা হবে। যেহেতে ৫৪ জনের মধ্য থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী এই শিক্ষাবৃত্তি পাবে সেহেতু মেধা তালিকার মধ্যে অস্বচ্ছলতা/ সুযোগ বঞ্চিত / দরিদ্রতাকে প্রাধান্য দেয়া হবে।
২. শিক্ষার্থীকে অবশ্যই উপজেলার মধ্যে অথবা বিশেষ কারনে পার্শ্ববর্তী উপজেলার কোন কলেজে ভর্তি হতে হবে ।
৩. প্রাপ্ত বৃত্তির অর্থ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে। কোন টাকা ছাত্র কিংবা ছাত্রীর হাতে দেয়া হবে না। প্রধান শিক্ষক প্রধানত ছাত্র ও ছাত্রীর ভর্তি ফিস, মাসিক কলেজ ফি, নিজস্ব পরীক্ষা ফি, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার Form Fill Up ইত্যাদি নির্বাহ করবে। অতিরিক্ত অর্থ বই ও যাতায়াত বাবদ খরচ করা হবে।
৪. উল্লেখ থাকে যে ভর্তির পর কোন ছাত্র – ছাত্রী পড়াশুনা বাদ দিলে বা কেহ Drop out বা অন্তর্হিত হলে ঐ ছাত্র – ছাত্রীর স্থানে একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁর স্কুল থেকে পরবর্তী উপযুক্ত কাউকে নির্বাচন পদ্ধতি অনুসরন করে নির্বাচন করবে এবং Scholarship money প্রদান করবে। বৃত্তি প্রদানকারী উদ্যোক্তাগন বৃৃৃৃত্তির টাকা যে ভাবে ব্যয় করবে তার খাত নিম্নরুপ:
প্রথমতঃ কলেজে ভর্তি ফিস, কলেজের মাসিক বেতন (Tuition fees), অভ্যন্তরিন ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার Form Fill up ফিস (HSC Exam fees) নির্বাহ করবে।, সরকারী ও বেসরকারী কলেজের মাসিক কলেজ ফি’র তারতম্য থাকায় যাদের সম্ভব তাদের স্কুল প্রধান শিক্ষক বইপত্র ক্রয়ের জন্য আর সম্ভব হলে যাতায়াত খরচ দেয়া যাবে।
এ বিষয়ে বৃত্তি প্রদানকারী উদ্যোক্তাগন , জিপিএ-৫ প্রাপ্ত স্কুলের সকল প্রধান শিক্ষকবৃন্দ মেধা ও অস্বচ্ছলতার ভিক্তিতে উপযুক্ত ছাত্র ছাত্রীকে বৃত্তির সুপারিশের মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সহায়তা করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।এছাড়া বৃত্তি গ্রহনে ইচ্ছুক মেধাবি কিন্তু অস্বচ্ছল ছাত্র ছাত্রীবৃন্দকে অবিলম্বে তাদের প্রধান শিক্ষকের নিকট কেন তাকে এই বৃত্তির জন্য নির্বাচিত করা উচিৎ তা বর্ননা করে আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
Leave a Reply