রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাগমারার মাড়িয়া ইউনিয়নে কৃষি জমি রক্ষার্থে অবৈধ দিঘী অপসারণ ও সরকারী ব্রীজে মুখে ইট ও লৌহার প্রাচীর ভেঙ্গে দিয়ে জলাবদ্ধতা নিরেসনের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এলাকার শত শত কৃষক সংঘবদ্ধ হয়ে মানব বন্ধন করেছেন। মানব বন্ধন শেষে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী ব্রীজ গুলো মুখ খুলে দিয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের সরকারী খালের উপরে অবৈধ ভাবে দীঘি খনন করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে দীঘির মালিকরা। এতে করে মাড়িয়া ইউনিয়নের প্রায় ১৫/২০ টি গ্রামের কৃষকদের হাজার হাজার হেক্টর জমিতে জলাবদ্ধতা কারণে বিগত ৫ বছর ধরে ওই সকল
জমিতে আবাদ করতে পারছেন না এলাকার কৃষকরা। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য বার বার প্রশাসনের দ্বারস্ত হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্ত গোয়ালপাড়া কৃষক আলতাফ হোসেন, লুৎফর রহমান, মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুস সাত্তার, গোলাম হোসেন, ও আমিনুল হক জানান, বিগত ৫ বছর আগে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সরকারী খাস খাল দখল করে অবৈধ ভাবে ৩০-৩৫টি দিঘী খনন করে মাছ চাষ করায় হাজার হাজার হেক্টর জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে শত শত কৃষক ফসল ফলাতে না পেরে অসহায় হয়ে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসনে বহুবার আবেদন নিবেদন করেও সমাধান না হওয়ায়
কৃষকরা অবশেষে বাধ্য হয়ে এক জোটে মানব বন্ধন করে পানি চলাচলের বাঁধ সৃষ্টিকারী ব্রীজ গুলোর মুখ খুলে দিয়ে স্বাভাবিক পানি চলাচলের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এদিকে প্রতিবারই ব্রীজের মুখ খুলে দেয়া হলেও তা পরে প্রভাবশালী দিঘীর মালিকরা পুনরায় মুখ বন্ধ করে পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। যার কারণে এ এলাকার শত শত কৃষকরা আলু, পিঁয়াজ, ধানসহ বিভিন্ন প্রকার শস্য উদপাদন করতে পারছেন না। এতে করে যেমন ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে এলাকার কৃষক তেমনি ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশ। কয়েকজন প্রভাবশালী অবৈধ প্রভাবশালী দিঘীর মালিকদের কারণে শস্যভান্ডার নামে খ্যাত বাগমারা আজ শস্যহীন বাগমারায় পরিনত হয়েছে। এরকম অবৈধ দিঘী খনন
করে কৃষকদের ক্ষতি করা কোন ভাবে সচেতন বাগমারাবাসী মেনে নিতে পারে না তাই জরুরী ভিত্তিতে সকল অবৈধ দিঘী অপসরনে দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। প্রভাবশালীদের হাত হতে রক্ষা পেতে কৃষকরা জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমস্য সমাধানের প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামন করেছেন।
Leave a Reply