1. sylhetmohanagarbarta@gmail.com : সিলেট মহানগর বার্তা :
সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২০ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
প্রধান খবর:
মানবিক সাহায্যের আবেদন বাঁচতে চায় ৮ বছর বয়সী শিশু রিয়া মনি সাংবাদিক গোলজারের মায়ের ইন্তেকাল, দাফন সম্পন্ন,আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া কবি মুহিত চৌধুরীর জন্মদিন আজ ওসমানী হাসপাতালের কর্মচারীরা ওয়ার্ড মাষ্টার রওশন হাবিব ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী আব্দুল জব্বারের হাতে জিম্মি সাংবাদিক তাওহীদকে প্রাণনাশের হুমকিতে অনলাইন প্রেসক্লাবের উদ্বেগ সিলেটে সাংবাদিক তাওহীদুল ইসলামকে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি লিডিং ইউনিভার্সিটি থেকে পেশাগত অসদাচরণের দায়ে স্থপতি রাজন দাস চাকুরিচ্যুত নবগঠিত ২৮, ২৯, ৩০,৪০, ৪১ ও ৪২ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও যুগ্ম আহবায়কের নাম ঘোষণা গোলাপগঞ্জ উপজেলার উন্নয়ন মেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গেয়ে মাতিয়েছেন হিল্লোল শর্মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা’র ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মসূচী

বরিশাল ২আসনের বানারিপাড়া ও উজিরপুর আসনের এম,পি শাহে আলমকে বিভিন্ন মহলের সাধুবাদ।

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০
  • ১৪১ বার পড়া হয়েছে

মোঃ সিরাজুল হক রাজু স্টাফ রিপোর্টার।

বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহে আলম বানারীপাড়ায় ১৭ বার কারাবরণকারী বিট্রিশ বিরোধী আন্দোলনের পুরোধা কুমুদ বিহারী গুহঠাকুরতার সমাধী স্থলে আধুনিক ‘স্মৃতি স্তম্ভ’ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন।

 

বানারীপাড়া পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে কুমুদার সম্পত্তিতে প্রতিষ্ঠিত ‘পাবলিক লাইব্রেরী’ সংলগ্ন তাঁর ‘সমাধী’ স্থলে ‘স্মৃতি স্তম্ভ’ নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে  তিনি উপজেলা প্রকৌশলী হুমায়ুন কবিরকে নকশা প্রণয়নের দায়িত্ব দিয়েছেন।

 

১৪ অক্টোবর  বুধবার সন্ধ্যায় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম কুমুদা’র সমাধী পরিদর্শনে গিয়ে অবহেলিত ও জরাজীর্ণ রূপ দেখে আধুনিক স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

 

এদিকে সর্বজন শ্রদ্ধেয় চির কুমার মহান এ নেতার সমাধী স্থলে ‘স্মৃতি স্ত¤’¢ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ায় সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি উন্নয়নের রূপকার সংসদ সদস্য মো. শাহে আলমকে  উষ্ণ অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বানারীপাড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল,বানারীপাড়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সুব্রত লাল কুন্ডু,কুমুদা প্রতিষ্ঠিত বানারীপাড়া কেন্দ্রীয় সার্বজনিন মন্দির কমিটি ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের  সভাপতি দেবাশীষ দাস,সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর গৌতম সমদ্দার,উপজেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক ওয়াহীদুজ্জামান দুলাল,হাই কেয়ার স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক আ.হাই বখ্শ,বানারীপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি রাহাদ সুমন,সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা,নতুনমুখ সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান,পৌর আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক রিপন বনিক,উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন,কেন্দ্রীয় সার্বজনিন মন্দির কমিটির সহ-সম্পাদক দেব কুমার সরকার,সদস্য পান্না লাল কর্মকার,পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুমম রায় সুমন,সম্পাদক প্রসেনজিৎ বড়াল,পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রুহুল  আমিন রাসেল মাল,সাধারণ সম্পাদক সজল চৌধুরী,শিক্ষক হায়দার আলী প্রমুখ।

 

প্রসঙ্গত, বিল্পবী কুমুদ বিহারী গুহ ঠাকুরতা ১৯০৪ সালের ৮ ডিসেম্বর বানারীপাড়ায় উপজেলা সদরের তমাল তলায় ( বর্তমান পৌর শহরের ৩ নং ওয়ার্ড)  নিজ পিত্রালয়ে জন্ম গ্রহন করেন । তার পিতা ছিলেন শরৎ গুহ ঠাকুরতা ও মাতা ছিলেন ভুবন মহীনি দেবী। তাদের চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে কুমুদা ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। তিঁনি বিট্রিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতেন।

 

বিট্রিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে ১৭ বার করান্তরীণ হয়েছেন। আন্দোলন করতে গিয়ে বিয়ে করা হয়নি তাঁর। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যতক্ষণ পর্যন্ত দেশ (অর্থাৎ বর্তমান ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ) স্বাধীন না হবে ততদিনে তিঁনি বিয়ে করবেন না। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হলো ঠিকই কিন্তু ওই সময়ে বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় আর বিয়ে করা হয়নি তাঁর। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তাঁর পরিবার পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে চলে যায়।

 

কিন্তু তিঁনি দেশ মাতৃকার টানে পূর্ব পাকিস্তানে থেকে যান। দেশে থেকে যাওয়ার সুবাদে পাকিস্তানের অত্যাচার শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সর্বদা সরব থাকতেন তিনি। পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন করায় তাকে ৮ বার এবং বিট্রিশ বিরোধী আন্দোলনে ১৭ বারসহ মোট ২৫ বার কারাবরণ করতে হয়।

 

দুটো স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ গ্রহন করা বিল্পবী কুমুদ বিহারী গুহ ঠাকুরতা বানারীপাড়ায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। ১৩৮১ সালের ১৪ বৈশাখ আজীবন বিপ্লবী এ নেতার মহাপ্রয়াণ ঘটে। আর তার কোন বংশধর না থাকায় জন্মবাড়ি ও সমাধী এখন শেষ স্মৃতি চিহ্ন

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: এন আর