মোঃ সিরাজুল হক রাজু স্টাফ রিপোর্টার।
চলতি বছরের গত সেপ্টেম্বর মাসে বরিশাল নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৪৯টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে নারী নির্যাতন ৩৯টি এবং শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১০টি। তবে গত আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বর মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের দুইটি ঘটনা কম ঘটেছে।
বরিশাল জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভার পরিসংখ্যান সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের গত সেপ্টেম্বর মাসে বরিশাল মেট্রোপলিটন থানাধীন এলাকায় ৫টি নারী ও ৯টি শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও বরিশাল জেলার বিভিন্ন থানা সমূহে ৩৪টি নারী ও ১টি শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বর মাসে বরিশাল নগরীর চেয়ে জেলার বিভিন্ন থানায় ২৯টি নারী নির্যাতনের সংখ্যা বেশি ঘটেছে। পাশাপাশি জেলায় একটি শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘটেছে ৯টি ঘটনা।
এসব ঘটনার প্রত্যেকটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীরা। বরিশালের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বরিশালে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। তারপরও বিচ্ছিন্নভাবে যেসব অপরাধের ঘটনা ঘটছে তা দ্রুত শনাক্ত করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বরিশালকে অপরাধমুক্ত রাখতে পুলিশের পাশাপাশি সকলের সার্বিক সহযোগিতা দরকার। বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বলেন, দেশে আজ অপরাধীদের বিচার হচ্ছে ।
বিচারের রায় সঠিকভাবে মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে অপরাধীরা অপরাধ থেকে কিছুটা হলেও সরে আসবে। তারা মনে করবে অপরাধ করলে রেহাই পাওয়া যায় না। বিচারের আওতায় আসতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, বরিশালে আমরা কোনো ন্যাক্কারজনক ঘটনা দেখতে চাই না। অপরাধ প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলার পাশাপাশি সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে নিয়মিত জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভা পরিচালনা করা, সন্তানদের প্রতি মা-বাবা ও আত্মীয়-স্বজনের খেয়াল বাড়ানো ও নিজেদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ সঠিক ধারায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে সামাজিক আন্দোলনের নামে দেশ-জাতি ও রাষ্ট্রের ক্ষতি এবং ভাবমূর্তি নষ্ট যাতে না হয়
Leave a Reply