মোঃ সিরাজুল হক রাজু স্টাফ রিপোর্টার।
বরিশাল কেন্দ্রিয় কারাগারের একটি কক্ষে আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আদালতের আদেশ অমান্য করে আসামীকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতন না করার জন্য আসামীর স্ত্রীর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবী করেছেন আসামীর পরিবার।
এদিকে কেন্দ্রিয় কারাগারের জেলারের দাবী রিমান্ড কারাগারের বাইরেই হয়ে থাকে। এতে আইনের ব্যতয় হয়নি।
অপরদিকে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, বিষয়টি দেখার দায়িত্ব কারাগার কর্তৃপক্ষের। তদন্ত কর্মকর্তার কর্তব্যে গাফেলতি হয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তারা।
এ ঘটনায় আদালত অবমাননা হয়েছে দাবী করে অভিযুক্তদের শাস্তি দাবী করেন জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাব্বির মো. খালিদ উজিরপুর আমলী আদালতের জিআর-২৪১/২০২০ মামলার সন্দিগ্ন আসামী মো. টিনাকে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড আদেশে আদালত আসামীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন না করা এবং কেন্দ্রিয় কারাগারের একটি কক্ষে স্বাস্থ্য বিধি মেনে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। এই আদেশ অমান্য করে গত ৪ অক্টোবর বিকেলে আসামীকে বরিশাল কেন্দ্রিয় কারাগার থেকে উজিরপুর থানায় নিয়ে যায় তদন্ত কর্মকর্তা। আসামীকে নির্যাতন না করার শর্তে তদন্ত কর্মকর্তা উজিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহবুবুর রহমান আসামীর স্ত্রীর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়েও টিনাকে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ স্বজনদের। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবী করেন আসামীর স্ত্রী পারভীন বেগম ও চাচা আব্দুল হালিম হাওলাদার।
এদিকে বরিশাল কেন্দ্রিয় কারাগারের জেলার মো. শাহ আলম বলেছেন, আদালতের এই ধরনের আদেশ এর আগে তিনি দেখেননি। রিমান্ড মানেই কারাগারের বাইরে জিজ্ঞাসাবাদ। আসামীকে থানায় নিয়ে যাওয়ায় আইনের ব্যতয় হয়নি বলে দাবী তার।
বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাঈমুল হক বলেছেন, বিষয়টি দেখার দায়িত্ব কারাগার কর্তৃপক্ষের। এ ক্ষেত্রে তদন্ত কর্মকর্তার কর্তব্যে গাফেলতি হয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।
বরিশাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর বলছেন, এ ঘটনায় সুষ্পস্ট আদালত অবমাননা হয়েছে। এর দৃস্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন তিনি।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে উজিরপুরের ওটরা ইউনিয়নের পূর্ব কেশবকাঠী গ্রামের শাহিন হাওলাদারের ঘরে রাতের খাবারে চেতনা নাশক ওষুধ মিশিয়ে সবাইকে অচেতন করে তাদের বাসার মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় শাহিন হাওলাদার বাদী হয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাতানামাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ২৪ সেপ্টেম্বর এই মামলায় টিনাকে সন্দেহজনকভাবে গ্রেফতার করে পুলিশ। টিনাকে বাদী সন্দেহ করেন না জানালেও তদন্ত কর্মকর্তা তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করে
Leave a Reply