সিরাজুল ইসলাম রাজু স্টাফ রিপোর্টার পুড়েছে ওই শিশুদের বসতঘরও। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনার পর বুধবার সকালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারাকে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর লামছড়ি গ্রামে ইউনুস গাজীর বাড়িতে ঘটে এই ঘটনা। ইউনুস গাজী ও তার স্বজনরা, ওই ঘরে ৩ নাতি-নাতনি নিয়ে তাদের নানা-নানি ঘুমিয়েছিলেন। হঠাৎ ধোয়ার কুন্ডলী ও আগুনের তাপে তাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। আগুন দেখে তারা ডাক-চিৎকার শুরু করেন এবং অন্যান্যকে নিয়ে ঘরের বাইরে চলে যান। তবে তাড়হুড়োর কারনে ঘরের ভেতরেই থেকে যায় ৮ বছরের নাতি রেজাউল গাজী।
গ্রামবাসীর দীর্ঘ চেষ্টায় একপর্যায়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ হলে ঘরের মধ্যে পুড়ে আঙ্গার অবস্থায় রেজাউলের লাশ উদ্ধার করেন স্বজনরা। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে এই অগ্নিকাণ্ড হয়েছে বলে সন্দেহ করছেন এলাকাবাসী।রেজাউল স্থানীয় উত্তর লামছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।নানা-নানির কাছে থেকে পড়াশোনা করতো নিহত রেজাউল ও তার অপর দুই ভাই-বোন।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।বুধবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু তাৎক্ষণিক ভাবে ওই পরিবারকে নগদ টাকা প্রদান করেন এবং একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়ার আশ্বাস দেন। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাতাব হোসেন সুরুজ ওই পরিবারকে নগদ টাকা সহায়তা প্রদান করেন। বুধবার সকাল ৯টায় জানাজা শেষে বাড়ির পাশের গোরস্থানে শিশু রেজাউলের দাফন সম্পন্ন হয়
Leave a Reply