মোঃ সিরাজুল হক রাজু স্টাফ রিপোর্টার।
বরিশালের বানারীপাড়ায় ৪৫ বছর ভোগদখলীয় এক মুক্তিযোদ্ধার বসতবাড়ি সম্পত্ত্বি ভোগ দখলের পায়তারা করছে একটি প্রভাবশালী মহল। বানারীপাড়া উপজেলার আউয়ার গ্রামের মৃত্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হোচেন আলী সিকদার’র বসতকৃত বাড়িটি দখলের চেষ্টা করে আসছে মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যু হোচেন আলীর আপন শ্যালক মোস্তফা কামাল এবং চাচাতো দুই শ্যালক মৃত্যু গনি হাং এর ছেলে আলম হাওলাদার ও মৃত্যু ছোবাহান হাং এর ছেলেরা এমনটা অভিযোগ এনে বীর মুক্তিযোদ্ধা হোচেন আলীর স্ত্রী আয়শা বেগম বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদীদ আব্দুল্লাহ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় বীর মুক্তিযোদ্ধা হোচেন আলী জীবিত থাকাকালিন স্থানীয় বাড়ি মসজিদ বাড়ির বসতভিটা পরপর দুইবার সন্ধ্যা নদীর ভয়াল গ্রাসে নদীগর্ভে বিলীন হলে নিজেদের ১০ শতক
জমিতে পুনরায় বাড়ি করার প্রস্তুতি নিলে হোচেন আলীর স্ত্রীর আপন ভাই মোস্তফা ও দুই চাচাতো ভাই মৃত্যু গনি হাওলাদার ও মৃত্যু ছোবাহান হাওলাদার আউয়ার মৌজার ৩৩ নং খতিয়ানের ৪৫০ দাগের ২৫ শতাংশ জমি বিক্রি করবে বলে হোচেন আলীকে প্রস্তাব দেয়। তাদের প্রস্তাব মতে হোচেন আলী শ্যালকদের জমি ক্রয় করতে সম্মত হয় এবং জমির টাকা বুঝিয়া পাইয়া ঐ জায়গার একটি ডোবা বীর মুক্তিযোদ্ধা হোচেন আলীকে বুঝাইয়া দিয়ে মাটি ভরাট করে ঘর তুলতে বলে মোস্তফা কামাল, গনি হাং ও ছোবাহান হাং গং। অভিযোগে আয়শা বেগম বলেন তখন আমাদের ঘরবাড়ি না থাকায় আমার ভাইয়েরা বলে ঘর মাটি ভরাট করে ঘর তৈরি করো, তারপর দলিল করে দিব। আমরা আমার ভাইদের কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাৎক্ষনিক দলিল না করেই আমরা তাড়াতাড়ি ঘর তৈরি করি। কিন্তু পরবর্তীতে দলিল দিতে তারা আজ দিব কাল দিব বলে তালবাহানা করতে থাকে। এভাবে বছরের পর বছর অতিবাহিত হতে থাকে। ৪০ বছর বসবাসের পর বীর মুক্তিযোদ্ধা হোচেন আলী ৫ মেয়ে আর ১ ছেলে রেখে মারা যান। তার মৃত্যুর পর থেকেই আপন শ্যালক ও দুই চাচাতো শ্যালক গনি হাং ও ছোবাহান হাং এর ছেলেরা জমি থেকে হোচেন আলীর পরিবারদের উচ্ছেদের চেষ্টা চালায়। অভিযোগে আয়েশা বেগম জানান অভিযুক্তরা তাদের বসতবাড়ির গাছপালা সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা জোড় পূর্বক কেটে নেয়। এ প্রসংগে জমি বিক্রি করা এক বিক্রেতার ছেলে ওমর ফারুক বলেন আমার বাবা যে জমি দিয়ে গেছে তা তাদের বুঝিয়ে দেয়া আমার ইমানী দায়িত্ব। ঐ জমি বুঝিয়ে না দিলে আমার বাবা কবরে কষ্ট পাবে। যেখানে এক পিতার সন্তানের এমন মনোভাব সেখানে আয়েশা বেগমের আপন ভাই ও চাচাতো ভাইয়ের ছেলেদের এই অসহায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা করছে। এখন বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার বর্গ অসহায় ও নিরাপত্ত্বাহীনতায় বসবাস করে আসছে এবং দেশ মাতৃকার জন্য যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেও আজ সয়ং মুক্তিযোদ্ধারা নিজেরাই স্বাধীন নয়। তারা এই অন্যায়ের প্রতিকার চেয়ে ইউ এন ও এর স্বরোনাপন্ন হয়েছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হোচেন আলীর গেজেট নং ২৫৩২। তার মুক্তি বার্তা নং ৬০১০৮০০৪৬, সনদ নং ১৬৬৫১০। আজ এই মুক্তিযোদ্ধা পরিবার অসহায় পরিবার। বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক সহায়তা করছে অথচ এই পরিবারটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হয়েও তারা সন্মানি ভাতা ছাড়া আজ তারা কিছুই পায়না। ভাতা ছাড়া আজ অসহায় পরিবারটি সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা থেকে আজ বঞ্চিত।এ প্রসংগে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি তাই তাদের বক্তব্য নেয়া ও সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply