মোঃ সিরাজুল হক রাজু স্টাফ রিপোর্টার।
বরিশালের বানারীপাড়ার ‘মানবিক’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের আকস্মিক বদলীর খবরে এলাকাবাসী ‘অশ্রুজলে’ সিক্ত হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার তিনি বানারীপাড়া ছেড়ে তার নতুন কর্মস্থল পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় যোগদান করবেন বলে জানা গেছে। তার অন্যত্র বদলী হয়ে এ চলে যাওয়াকে বানারীপাড়াবাসী কিছুতেই মানতে পারছেন না। তার বদলীর আদেশ বাতিল করে তাকে বানারীপাড়ায় বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা।
প্রসঙ্গত তিনি একজন ‘মানবতাবাদী’ সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা হিসেবে বানারীপাড়ার সর্বমহলে প্রশংসা ও সুনাম কুড়িয়েছেন। তিনি প্রাণঘাতি কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাস শুরুর পরে নিজ কার্যালয়ে ‘ঘরবসতি’ গড়ে তুলেছিলেন। তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে নিজ হাতে কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে নিত্য ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। স্বচ্ছতার সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে সরকারী বরাদ্দের এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করায় তিনি ব্যাপক প্রশংসিত হন। এছাড়া তিনি করোনার সংক্রমন থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষা করতে নানা ভাবে সচেতনতামূলক দিক নির্দেশনা দেন। বানারীপাড়ার সার্বিক উন্নয়নে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে সবার আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিকে পরিণত হয়েছেন।
বানারীপাড়ায় অসচ্ছ্বল গৃহহীন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য কয়েক লাখ টাকা ব্যয়ে পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ পৌর শহর সহ উপজেলার ৮ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত জনপদে ঘুরে ঘুরে প্রকৃত অসচ্ছ্বল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের তালিকা তৈরী করেছেন। এছাড়া গৃহ ও ভূমহীন পরিবারের সদস্যদের গৃহ ও ভূমি দেওয়া,শীতকে উপেক্ষা করে বাড়ি বাড়ি ঘুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ সহ নানা ভাবে তিনি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড় ‘ফনি’,‘বুলবুল’ ও ‘আম্ফান’ মোকাবেলায় তিনি এলাকাবাসীকে সচেতন করতে নিজেই মাইকিং করতে নেমে পড়ার পাশাপাশি সেই ভয়ঙ্কর রাতে তার নিজ গাড়িতে করে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে সাইক্লোন শেল্টারে ছুঁটে গিয়েছিলেন। এসব কারনে তিনি একজন প্রকৃত ‘মানবদরদী’ কর্মকর্তা হিসেবে এলাকাবাসীর ‘হৃদয়ের মনিকোঠায়’ ঠাঁই করে নিয়েছেন। তাইতো তার বদলীর খবরে সবার ‘হৃদয়ে রক্তক্ষরণ’ ও চোখে ‘কান্নার সাঁতার’ বইছে
Leave a Reply