অশোক সরকার,বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃবগুড়ার শেরপুরে উপজেলার পানিসাড়া হিন্দুপাড়ায় আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে আবাদে চলছে আবাদি কৃষি জমি খনন করে পুকুর তৈরি ফলে দিন দিন হ্রস পাচ্ছে কৃষি জমি।পুকুর খননের ফলে বিপাকে রয়েছেন স্হানীয় কৃষকেরা, দৃষ্টি দিচ্ছে না স্হানীয় প্রশাসন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়ন এর পানিসাড়া হিন্দুপাড়া গ্রামের নামক স্হানে প্রভাবশালী” আব্দুল খালেক” এর ১০/১১বিঘা আবাদি কৃষি জমিতে চলছে বেকু দিয়ে মাটি খনন করে পুকুর নির্মাণ এর কাজ চলছে।এর ফলে স্হানীয় কৃষকরা পরেছেন মহা বিপাকে।
আবাদি কৃষি জমি খনন করে পুকুর নির্মাণের প্রসঙ্গে পানিসাড়া গ্রামের কৃষক ইদ্রিস আলী বলেন, এই খননাধীন জমির পাশেই আমার ২০ শতাংশ ধানী জমি আছে,
পাশে পুকুর হলে আমার ধানী জমির উৎপাদন কমে যাবে।কারণ জমিতে জলাবদ্ধতা হবে এবং প্রভাবশালী হওয়ার কারণে আমরা কিছু বলতে পারছি না ।
পানিসাড়ার হিন্দুপাড়ার সহাদেব চন্দ্র সরকার বলেন খননাধীন এই পুকুরের পাশে আমাদের ৬ ভায়ের পৈত্রিক ৫ বিঘা ধানী জমি রয়েছে, এখানে পুকুর খনন হলে আমাদের উত্তর ও দক্ষিণের জমির পানি পশ্চিমে গড়ে খননাধীন জমি পশ্চিমে হওয়ার কারণে পানি গরার ব্যবস্হা বন্ধ হয়ে যাবে, ফলে জলাবদ্ধতা হবে ফসলের উৎপাদন কমবে। এছাড়াও খননাধীন জমির মাঝ খান দিয়ে আন্যনা জমিতে যাতায়াতের প্রধান আইল বা (সড়ক), এই জন্য খননাধীন জমি চারিদিকে থাকা আন্যনা মালিকের প্রায় ২০ বিঘা আবাদি কৃষি জমিতে যাতায়াতের সমস্যা হবে।
পুকুর খনন প্রসঙ্গে খননাধীন জমির মালিক আব্দুল খালেককে পুকুর খননের কোনো অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমিতো কোনো অনুমতি নেইনি, কোনো অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন আছে কি?
এ বিষয়ে মুঠোফোনে শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্হা নিবেন উপজেলা ভূমি অফিস,এ ব্যপারে কৃষি অধিদপ্তরের কোনো কিছু করনীয় নাই।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী শেখ বলেন, আমরা পুকুর খননের কোনো অনুমতি দেয় নি বলে তিনি মোবাইল কেটে দেন,পরর্বতীতে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করে না।
Leave a Reply