মোঃসাদ্দাম হোসাইন সোহান ,ফরিদপুর ঃ ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানা ভূমি অফিসে জমি মিউট্যিশনে চলছে ঘুষ বানিজ্য। জমি মিউটিশন এর সরকারি ফি ১১৭০ টাকা হলেও এর সাথে আরও ৫০০০ টাকা বেশি নিচ্ছে মধুখালি ভূমি অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক অজিত কুমার হালদার ।
বাড়তি টাকা ঘুষ দিতে হচ্ছে মধুখালী থানার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষকে।
সরেজমিনে একটি জমি মিউট্যিশনের জন্য সাংবাদিকরা গ্রাহক সেজে অফিসে গেলে কথা হয় মধুখালি ভূমি অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক অজিত কুমার হালদারের সাথে। তিনি জমির কাগজপত্র দেখে বলেন, কাগজপত্রের সাথে প্রথমে দিতে হবে নগদ ৫০০০ টাকা এবং পরে দিতে হবে আরও ১১৭০ টাকা। তাহলে আপনার জমির মিউট্যিশন হয়ে যাবে।সে সময় অজিত কুমার হালদারকে প্রশ্ন করা হয় ৫০০০ টাকা আগে কেন? উত্তরে তিনি বলেন এটা অফিস খরচ।আর ১১৭০ টাকা হলো সরকারী খরচ। বিষয়টি নিয়ে যদি কম কিছু টাকা রাখা যায় সে বিষয়ে এসিল্যান্ড এর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন স্যার এসব বিসয় নিয়ে কথা বলবে না। আমিই সব কাজ করি।
পরবর্তীতে সাংবাদিকরা ঘুষ বানিজ্যের প্রমান হাতে নিয়ে অজিত কুমার হালদারের সাথে ঘুষ কেন নিচ্ছেন বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি অস্বীকার করেন।
মধুখালি ভূমি অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক অজিত কুমার হালদারের জমি মিউট্যিশনে বাড়তি টাকা ঘুষ চাওয়ার বিষয়ে এসিল্যান্ড তানিয়া তাবাসসুম এর সাথে কথা বলতে তার অফিসে কয়েক ঘন্টা বসে থেকেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই তিনি অফিসে না আসায়। তার মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন করলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হলো না।
এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা মনোয়ার এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এমন ঘটনার বিষয়ে আমার জানা নেই। আপনারা লিখিত অভিযোগ দেন আমি ঘটনাটি তদন্ত করে দেখবো।
এ বিষয়ে স্থানীয় অনেকেই সাংবাদিকদের জানালেন মধুখালি ভূমি অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক অজিত কুমার হালদারের জমি মিউট্যিশনে বাড়তি টাকা ঘুষ নেয় নিয়মিত। কাউকেই ছাড় দেন না। সরকারী ফি বাদে বাড়তি ৫০০০ টাকা ঘুষ নেওয়াটা ওপেন সিক্রেট।
Leave a Reply