মোঃসাদ্দাম হোসাইন সোহান
বিশেষ প্রতিনিধিঃ-
নাম জাহিদ প্রামানিক, ফরিদপুর ও রাজবাড়ি জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গড়ে তুলেছে সন্ত্রাসী বাহিনী। তার বাহিনীতে রয়েছে কমপক্ষে ১০০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। বিভিন্ন অপকর্মের মুল হোতা । জেলার বিভিন্ন থানায় রয়েছে একাধীক মামলা। তার উল্লেখযোগ্য মামলার মধ্যে রয়েছে পুলিশ মার্ডারসহ ৫ টি মার্ডার মামলা, ২ টি অস্ত্র মামলা,১টি চাদাবাজি মামলা,১টি ডাকাতি মামলা,২টি মটরসাইকেল ছিনতাই মামলা এর মধ্যে ১টিতে মটরসাইকেল চালককে মার্ডার করে মটরসাইকেল ছিনতাই মামলা।ফরিদপুর জেলার মাধবদিয়া ইউনিয়ন ও ঈশানগোপালপুর ইউনিয়নসহ আশে পাশে রয়েছে তার বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী যারা মাদক ব্যবসা, মাদকের বড় চালান আনা নেওয়া, অস্ত্র ভাড়া দেওয়া এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের নেতৃত্ব দেওয়াসহ ভাড়ায় সন্ত্রাসী হয়ে বিভিন্ন জায়গায় সাধারন মানুষকে ব্লাকমেইল করে। মহাসড়কে বড় বড় ডাকাতির ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত। আরও জানা যায় রাজবাড়ি জেলার পাংশা হরিনবাড়িয়ার চর, কালুখালী, গোয়ালন্দ,দৌলতদিয়া ঘাট রয়েছে তার আরেক সন্ত্রাসী বাহিনী। এমন নানান অপকর্মের বিস্তার জানালেন অত্র এলাকার সাধারন মানুষ। একের পর এক এত অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার পরও সে রয়েছে ধরাছোয়ার বাইরে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানলেন ,পূর্বে অস্ত্র বেচাকেনার সময় র্যাব সিভিলে ক্রেতা সেজে জাহিদ প্রামানিককে অস্ত্রসহ রাজবাড়ি জেলার নলিয়াপাড়া জামতলা উজান চর থেকে গ্রেফতার করেছিলো।
জাহিদ প্রামানিকের বিরুদ্ধে মার্ডার মামলার মধ্যে উল্লেযোগ্য মামলা হলো পাংশা বেলগাছী ত্রিপল মার্ডার মামলা,ফরিদপুর আলীপুরের লাবু মার্ডার , স্থান ঝামতলা নলিয়াপাড়া গোয়ালন্দ থানায় মামলা হয় এ মার্ডারে সহযোগী হিসেবে আরো ছিলো জাহিদ বাহিনীর আরেক সক্রীয় সদস্য মীর মাসুদ মালো , মোমিনখার হাটের আলেপ মার্ডার মামলা যেটা ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় মামলাটি হয়েছিলো এ মামলার আরেকজন আসামী মীর মাসুদ মালো,ফরিদপুর শহরতলীর মাইজ্যামিয়াডাঙ্গী হাসান মার্ডার মামলা, গোয়ালন্দ মকবুলের দোকানের পাশে পুলিশ মার্ডার যার মামলাটি হয়েছে রাজবাড়ি থানায়,
জাহিদ প্রামানিকের বিরুদ্ধে বেরীবাধ রিপিয়ারিং এর কাজে চাদাদাবি করায় গোয়ালন্দ থানায় চাদাবাজি মামলা, শহরতলীর কাচারটেক বেরীবাধে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় মামলা, ফরিদপুর শহরতলীর মোমিনখার হাটে ডাকাতির ঘটনায় কোতয়ালী থানায় ডাকাতি মামলা, মোমিনখার হাটে অস্ত্রসহ গ্রেফতার কোতয়ালী থানায় মামলাসহ রয়েছে অনেক দূর্নীতি যা সাধারন মানুষ ভয়ে প্রশাসনকে জানাতে পারেনী।
গত ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ইং তারিখ রবিবার দুপুর আনুমানিক ১২টার সময় ফরিদপুর জেলার শহরতলীর গোয়ালের টিলা আইজদ্দিন মাতুব্বর পাড়া সাকিলে হারুন খোরসেদের দোকানের সামনে স্থানীয় ফার্মেসী ব্যবসায়ী জহুরুল মুন্সীকে নিজ বাসা থেকে ৬টি মটরসাইকেলযোগে জাহিদ বাহিনী ধরে নিয়ে গিয়ে মারাত্বকভাবে মারধর করে রাস্তায় ফেলে যায়।মারাত্বক আহত অবস্থায় জহুরুল মুন্সীকে স্থানীয়রা ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে ।এ ঘটনায় জাহিদবাহিনীর প্রধান জাহিদ প্রামানিক ও তার সহকারী মীর মাসুদ ও শাকিলসহ ৪জন উল্লেখকরে অজ্ঞাত ৬/৭ জনের নামে ফরিদপুর জেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও ১ নং আমলী আদালতে মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় জানাযায় জাহিদ বাহিনী মামলা তুলে নিতে প্রাননাশের হুমকী দিচ্ছে জহুরুল মুন্সীর পরিবারকে ।
জানা যায় জাহিদ বাহিনীর সাথে বিভিন্ন অপকর্মে অতপ্রতভাবে জড়িত রয়েছে জাহিদ বাহিনীর প্রধানসহকারী মীর মাসুদ মালো এবং শাকিল প্রামানিক। এরা সব সময় ধরাছোয়ার বাইরে থাকে।উল্লেখ্য যে ফরিদপুর শহরতলীর নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে নৌকায় ডাকাতি করার সময় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে মীর মাসুদ।মীর মাসুদের রয়েছে বিশাল এক মাদক ব্যাবসা।
এমন একটি বাহিনীর বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চায় এলাকাবাসী।
Leave a Reply