আবু সাইদ ক্রাইম রিপোর্টার
নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রবাসী স্বামীর টাকা হাতিয়ে নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি গ্রহণ করার অভিযোগ উঠেছে মোছাঃ জিম খাতুন(২২) এর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের হাঁসমারী গ্রামে। অভিযুক্ত নারী ওই এলাকার প্রবাসী মোঃ জিয়াউর রহমানের মেয়ে। এ ঘটনায় ভুক্তভুগি প্রবাসী মোঃ স্বপন আলীর ভাতিজা মোঃ আলামিন হোসেন বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
প্রবাসীর ভাতিজা আলামিন জানান, তার কাকা স্বপন আলী হাসমারী এলাকার প্রবাসী জিয়াউর রহমানের মেয়ে জিম খাতুনের সঙ্গে ২০১৭ সালের ৫ জুলাই ইং তারিখে ৫ ভরি স্বর্ণ দিয়ে বিবাহ করে। ওমানে চাকুরী করায় কাকার স্ত্রী তার মায়ের বাসা হাসমারীতেই বসবাস করে। তার কাকা ওমান থেকে বিভিন্ন সময় ঘর নির্মান করার জন্য কাকার শশুর বাড়িতে ব্যংক একাউন্ট নম্বরে ৭ লক্ষ টাকা পাঠায়। ওমানে থাকাকালিন সময়ে কাকার অজান্তেই কাকার স্ত্রী তাকে তালাক প্রদান করেন এবং ২৬ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখে চাপিলা ইউনিয়ন পরিষদে তালাক নামার নোটিশ প্রদান করেন। অদ্য ২৩ ডিসেম্বর বুধবার তাদের বাসায় বিয়ের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
এ ঘটনায় ভুক্তভুগি প্রবাসী স্বপন আলী মুঠোফনে জানান, বিয়ে করার এক মাস পর শশুর বাড়িতে বউ রেখে তিনি বিদেশ যান। বিদেশ থেকে উপার্জনের টাকা তিনি তার স্ত্রীর ও শাশুড়ীর ব্যংক একাউন্টে টাকা পাঠাতেন। একপর্যায়ে তার অজান্তে তার স্ত্রী তাকে তালাক দিয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রবাসীর স্ত্রী জিম খাতুন জানান, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন ভাবে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের তার স্বামী স্বপন আলী হয়রানী করে আসছে। তারপরও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে তার ও তার পরিবারের কাছে বড় অংকের টাকার যৌতুক দাবী করেন। এসকল কিছু মেনে নিতে না পারার জন্যই তাকে তালাক দেওয়া হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ আঃ রাজ্জাক জানান, এখনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply