রাজশাহী জেলাপ্রতিনিধি:
রাজশাহীতে নিজের সম্পত্তির ভাগ নিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভুগী পরিবার ও তার ওয়ারিসগন।
২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাজশাহীর কাজলায় বিশ^বিদ্যালয় মার্কেটে সন্ধ্যা ৭ টায় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় কাজলা গেট সংলগ্ন যার মৌজা কাজলা, দাগ নং -১৫০১, আরএস খতিয়ান নং- ৭০১ একটি মার্কেট রয়েছে যা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। উক্ত সম্পত্তিটি ২০০০ সাল থেকে ওয়ারিস হিসেবে ৫ ভাই অংশিদার হই এবং ওয়ারিস সুত্রে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ভোগদখল করে আসছি। ২০০৬ সালে রাস্তা প্রসস্তকরনের কারনে সরকার মার্কেটের কিছু অংশ একওয়ার করে নেয়। একওয়ারের টাকা পাঁচজন অংশিদারকে সমানভাবে বুঝিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ২০০৬ সালের পর থেকে আঃ সুবহান কাচু (৫৫) ও নাজিমুদ্দিন নাজু (৫৮) দুইজন মিলে জবরদখল করে নেয় পুরো মার্কেটটি। এরপর থেকে বাকি তিন ওয়ারিস অর্থাৎ তিন ভাই বার বার মার্কেটের ভাগ চাইতে গেলে বিভিন্নভাবে লাঞ্চিত করে নাজু ও কাচুর পেটুয়া বাহিনী। এই সমস্যা নিয়ে কাজলা বাজার ব্যাবসায়ী সমিতি ও থানায় একাধিকবার সমাধান করে দিলেও এই সমাধান মেনে নেইনি তারা। উল্টো তারা আমাদেরকে বিভিন্নভাবে মামলা-হামলা ও হয়রানি করছে। ভুক্তভুগীরা আরও বলেন, আমরা আমাদের প্রকৃত সম্পত্তি পেতে সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টিপাত করতে চাই।
উপস্থিত সাংবাদিকরা ভুক্তভুগীদের কাগজপত্র সঠিক আছে কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন, এই মার্কেটটি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি । এর কাগজপত্র সঠিক রয়েছে। শুধু তাই নয় আমাদের সকল কাগজপত্র কাজলা বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির নিকট দেওয়া হয়েছে। চাইলে আপনারা বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতির নিকট জানতে পারেন। আপনারা চাইলে সকল কাগজপত্র নিতে পারেন। পরে সাংবাদিকরা কাজলা বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সকলে মিলে একাধিকবার এর সমাধান করে দিয়েছি কিন্তু প্রতিপক্ষ নাজু ও কাচু উপস্থিত মেনে নিলেও পরে আর মানেন না। আসলে প্রতিপক্ষ লোকগুলো ভালোনা। থানাও এবিষয়ে অবগত আছেন, থানাও এই সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে। পরে জমি সংক্রান্ত তথ্যের জন্য প্রতিপক্ষ আঃ সুবহান কাচুর নিকট মুঠোফোনে ফোন দিলে, ফোনটি তার ছোট ছেলে সজিব রিছিভ করে এবং বলেন, তারা যদি পাই তাহলে কোর্টের মাধ্যমে নিবে। তারা মার্কেটের ভাগ পাবে কিনা জানতে চাইলে এড়িয়ে যান।
এবিষয়ে নগরীর মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সিদ্দুকুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি অবগত আছি কিন্তু আমি মাত্র কিছুদিন হলো এই থানায় এসেছি। আগের খবরটা জানিনা। তবে শুনেছি আমার আগের ওসি একাধিকবার সমাধান করে দিলেও তারা মেনে নেইনি। এখন আমি আসার পরে একবার ঝামেলা হয়েছিল, আমি দুই পক্ষের অভিযোগ গ্রহন করেছি। মামলা কোর্টে চলমান। বর্তমানে এই মার্কেটটি ১৪৫ ধারা জারি হয়ে আছে।
Leave a Reply