মোঃ ইব্রাহিম আহমেদ যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ যশোরের কেশবপুরে বিয়ের মাত্র এক মাস ছয়দিনের মাথায় সন্তান প্রসব করেছে এক নববধূ সন্তান প্রসবের পর নবজাতককে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হলেও শিশুটি এখন সুস্থ রয়েছে। নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টাও করেছে নববধূ।
সন্তান জন্ম দেয়া ওই নববধূ কেশবপুরের বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের খোপদহি গ্রামের বাসিন্দা সে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর সাগরদাড়িইউনিয়নের শেখপুরা গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
সাগরদাড়ি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুস সবুরজানান গত ২২ সেপ্টেম্বর ওই মেয়েটির বিয়ে হয় বিয়ের এক মাস ছয়দিন পর মঙ্গলবার সকালে সে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় মেয়েটির মা বাবা গর্ভে সন্তান আছে এই তথ্য গোপন করে বরপক্ষের সঙ্গে প্রতারণা করে তড়িঘড়ি বিবাহ সম্প’ন্ন করে তিনি আরও জানান নববধূ শ্বশুর বাড়িতে আসার পর বিভিন্ন সময় তার গর্ভের সন্তানের কারণে সমস্যায় ভুগছিল ঘটনার দিন মঙ্গলবার সকালে নববধূর পেঠে
ব্যথা শুরু হলে তার স্বামী স্থানীয় সাগরদাঁড়ি পল্লী চিকিৎসক বাবুকে সংবাদ দেন তিনি গর্ভে সন্তানের কথা বললেও নববধূ অস্বীকার করেন পরে ডাক্তার ইনজেকশন দিলে প্রসব বেদনা শুরু হয় মেয়েটি বাথরুমে গিয়ে সন্তান প্রসব করে পরে মেরেফেলার চেষ্টা করে বাথরুমের পেছনে ফেলে দেয় কিন্তু নবজাতক কান্না শুরু করলে বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
ওই নববধূ জানায় বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে গত এক বছর আগে শেখপুরা গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে রাসেলের সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে রাসেল তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে একপর্যায়ে তার গর্ভে সন্তানের বিষয়টি সে রাসেলকে জানায় কিন্তু রাসেল তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে।
বিষয়টি তার বাবা মা জানার পরও অন্য ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে দেয় ইউপি সদস্য আব্দুস সবুর জানান তিনি ঘটনাটি স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে জানিয়েছেন ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর মেয়েটি নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করে এজন্য তাকে চোখে চোখে রাখা হচ্ছে তবে মেয়ের বাড়ির সবাই গা ঢাকা দিয়েছে নবজাতকটি সাতক্ষীরার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
Leave a Reply