আবু সাঈদ ক্রাইম রিপোর্টার,
খাগড়াছড়ি জেলা মহালছড়ি উপজেলায় কাটিংটিলা নামক এলাকায় এক পরিবার নাম মঃ জয়নাল আবেদিন (৬৫) তাঁর ছেলে মোঃ আব্দুল জলিল (৩০) তাদের নাম ধরে ডাকলে কেউ চেনে না।
কারণ নামের পাশে একটা উপাধি আছে সেটা হচ্ছে তাঁরা পেশায় চোর। এক কথায় এলাকার সবাই চোর জলিল নামেই বেশ পরিচিত । এই কারণে জয়নাল চোর ও জলিল চোর ডাকলে সবাই চেনে। জয়নাল চোর পেশা আরো একটি আছে সেটা হচ্ছে মানুষের নামে মিত্থা মামলা করে অব্যস্ত।
১বসর আগে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভুয়াছড়ি নামক এলাকা থেকে গুরু চুরি করে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। উক্ত গরুর মালিক কাটিংটিলা এলাকায় জয়নাল চোরের এলাকাবাসি মুরব্বিদের নিকট বিচারের দাবি জানায়,মুরব্বিগণ গরুর মালিক কে সঠিক বিচার করে দেয়। সেই চোর খ্যাত বাপ-বেটা বিচারক মুরব্বি সহ সমাজের কিছু সন্মানিত লোকদের নামে জয়নাল চোর গরু চোরে মামলা করে।
এখন সেই চোর বাপ বেটা আবারও নতুন করে কাটিংটিলা এলাকার পাশে লেবুছড়ি বড়ো পাড়া এলাকার নিলয় চাকমার সেগুনবাগান দখল করার চেষ্টা করছে। এই সেগুনবাগানের সীমানায় তারের গেঁড়া ছিল সেই তারের গেঁড়া কিছু লোক ভাড়া করে এক রাতের মধ্যে লুকিয়ে ফেলে। এ বিষয়টি নিয়ে মহালছড়ি থানায় একটা জিডি করা হয়। ফলে পুলিশ ঘটনা স্থানে এসে সঠিক প্রমান মিলে যায়। খাগড়াছড়ি আদালতে মামলা পাঠান মামলায় যারা স্বাক্ষী দেন। উক্ত স্বাক্ষীগনের বিরুদ্ধে আবারও জয়নাল চোর ও জলিল চোরও মিথ্যা মামলা করেন। ওই মামলায় জয়নাল সহ ২ ছেলে একদিন জেলে সাজা ভোগ করেন।
তার পরে জামিন নিয়ে বাড়িতে এসে আবারো ৫টি সেগুন গাছ কেটে ফেলে। এটা নিয়ে নিলয় চাকমা আবারো মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে গাছ পুলিশর তত্ত্বাবধানে মামলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। সঠিক সাক্ষীগনের বিরুদ্ধে ১০ জনের নামে জয়নাল পুনরায় মিথ্যা মামলা করে। নতুন করে আবারো নিলয় চাকমার ১০ শতক জমি কাটিংটিলার নুরুল ইসলামের কাছে বিক্রি করেন জয়নাল। সেখানে নিলয় চাকমার আনারস বাগান হতে ৫০০০পিস আনারস চারা তুলে ফেলে দেয়। নিলয় চাকমা মামলা করার পরেও জয়নাল অপরাধ করার প্রবণতা কমছে না।
তাছাড়া তার ছেলে জলিল কিছু দিন আগে” দৈনিক বর্তমান কথা” প্রত্রিকার খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। উক্ত পত্রিকার সম্পাদকের ক্রাইমের টাকা লুট করার কারণে তাঁর কার্ড বাতিল করেছে পত্রিকার সম্পাদক। দৈনিক বর্তমান কথা জেলা প্রতিনিধি হতে বাতিল করার পরে আবারও নতুন করে বিশ্ব মানচিত্র পত্রিকায় কাজ শুরু করে। ফলে হলুদ সাংবাদিকের ন্যায় সাংবাদিক কার্ড ব্যবহার করে ভয় হুমকি দেখি চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়েছে। এমনকি সে ক্যামেরা, স্ট্যান ও কার্ড দেখিয়ে বিভিন্ন সরকারি কাজের গোড়ায় রিপোর্ট না করে চাঁদা দাবি করে।
সে এখন আবারও নতুন করে জবস টিভির খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি হিসাবে কার্ড নিয়ে আসে আবারও চাঁদাবাজি শুরু একমাত্র জলিলের সাপোর্ট পেয়ে ওর বাবা অন্যের জমি নিজের জমি বলে বিক্রি করে এবং জমি বিক্রি করা টাকা দিয়ে জলিল কে বাইক কিনে দেয়।
মহালছড়ি উপজেলার কায়াংঘাট ইউনিয়নের মোঃ শফি আলমের মেয়ে
মোছাঃ সুমি আক্তার (১৫)বছর নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী কে ইউনিয়নের সাংবাদিক চাকুরী নিয়ে দেবেন বলে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে খাগড়াছড়ি নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করেন বলে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং -৬ মুলে ধর্ষনকারী মোঃআব্দুল জলিলকে মহালছড়ি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে খাগড়াছড়ি আদালতে প্রেরন করেন।
Leave a Reply