মোঃ সুমন ইসলাম ডোমার নীলফামারী প্রতিনিধি।
নীলফামারী ডোমার উপজেলার চিলাহাটিতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে মানুষজনকে কাছে ‘কেন মাস্ক পরছেন না’ প্রশ্ন করলে নানা অজুহাত দিচ্ছেন তারা।
বোতলগঞ্জ বাজারে দু’জন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। তাদের মধ্যে দূরত্বের বালাই ছিল না।
মাস্ক নিয়ে প্রশ্ন করলে তাদের একজন বলেন, “কথা বল্লি বুঝতি পারে না, তাই মাস্ক খুলে কথা বলছি, কথা শেষ হলিই পরছি।”

গত ১১নভেম্বর কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে ‘শতভাগ মাস্ক পরিধান’ নিশ্চিতকরণে প্রতীকী প্রচারণা চালানো হলেও তার প্রতিফলন নেই ডোমার উপজেলায়।
ডোমার উপজেলার জনবহুল একাধিক কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাস্ক ছাড়া মানুষের সংখ্যা অনেক। বাজারে অনেক ক্রেতা-বিক্রেতার মুখেও মাস্ক নেই।
যাদের সঙ্গে মাস্ক দেখা গেল, তারাও অনেকে থুতনিতে কিংবা কানের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছেন। গ্লাভস দেখা গেল না কারো হাতে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনার পরও বেশির ভাগ মসজিদে মুখে মাস্ক ছাড়াই অনেকে নামাজ পড়তে আসছেন।
চিলাহাটিতে বিভিন্ন লোকজন বলেন, “করোনা কি সব মসজিদি? বাজার ঘাটে লোক ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের মুখে মাস্ক নেই। তাতে কিচ্ছু হচ্ছে না, মসজিদে মাস্ক পরে না আসলি যত সমস্যা!”
মাস্ক না পরার নানা বিচিত্র কারণের কথা বলেন।
গত মার্চ-এপ্রিলে ডোমার উপজেলার চিলাহাটিতে বিভিন্ন মানুষের মুখে মাস্ক দেখা গেলেও, এখন করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা শুরুর আশঙ্কা করা হচ্ছে, তখন মাস্ক ব্যবহার না করা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে যাত্রীবহনের প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় ডাক্তার সিরাজুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত টহল ছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মতো, কিন্তু সেসব এখন অনেকটাই অনুপস্থিত। সে কারণে মানুষের মধ্যেও গরজ কম।
এ বিষয়ে স্হানীয় মানুষ জন বলেন চিলাহাটিতে বিভিন্ন বাজারে যারা মাস্ক না পড়ে বাজার ঘাট মসজিদে আসে তাদেরকে ভ্রাম্যামাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা করা উচিত।
“সবচেয়ে বড় কথা, মানুষ সচেতন না হলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সরিয়ে পরবে।
মোঃ সুমন ইসলাম ডোমার নীলফামারী প্রতিনিধি।
২৯//১১/২০২০/// মোবাইল ০১৭৮০৫৫১৬১৭///
Leave a Reply