এইচ এম সাগর(হিরামন) ->>
ক্ষমতাশীন দলের দাপট দেখিয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলার শৈলমারী গ্রামে অবৈধ বালুর ব্যবসা চালিয়ে আসছেন উপজেলা আ,লীগের এক নেতা। ট্রাকযোগে বালি পরিবহনের কারণে ভেঙ্গে যাচ্ছে গ্রামের রাস্তা। পথচারী এবং গ্রামের কয়েক হাজার নারী-পূরুষ ক্ষুব্দ হয়ে ওই নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করেও ফল পায়নি। বিষয়টি নিয়ে গতকাল সোমবার বেলা বারটায় ভুক্তভোগীরা বটিয়াঘাটা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শৈলমারি ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক আওয়ামীলীগ নেতা বাবুল মহালদার। বক্তব্য পাঠ কালে তিনি বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা অনুপ গোলদার দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক এলাকার মধ্যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। তাকে বাধা দিলে বিভিন্ন ধরনের মামলা হামলায় জড়িয়ে দেয় স্হানীয় মানুষদের। বিষয়টি সম্পর্কে খুলনা জেলা প্রশাসকসহ স্হানীয় প্রশাসনকে অবগত করেও স্হায়ি কোন সমাধান মেলেনি।
শৈলমারী গ্রামের মাদক সম্রাট বিকাশ কুমার দে র বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। তার পর থেকে তার দোষর হিসেবে এলাকায় দায়ীত্ব পালন করে আসছেন। এলাকায় অবৈধ জমি দখল, মাদক ব্যবসাসহ সকল কর্মকার্ড তার মাধ্যমে চলে আসছে। বালু ব্যবসার নামে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করায় খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ করা হলে গত ১/৮/২০ তারিখে পরিচালক মোঃ সাইফুর রহমান খান ২২,০২,০০৪০,২৬৭,২৭,০৯২,১৫ নং স্বারকে বালুর বেড বন্ধ করার আদেশ দেন কিন্তু উক্ত আদেশ অমান্য করে এলাকার কিছু লোকদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা হামলা মামলা ও জিডিসহ জীবন নাশের হুমকি দিয়ে পুনরায় বালুর বেড চালু করার পায়তারা চালাচ্ছে।
এলাকায় অবৈধ বালুর ব্যবসার অভিযোগ ঊঠায় বটিয়াঘাটা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রাশেদুজ্জামান গত ১৮ আগষ্ট ইউএনও মোঃ নজরুল ইসলাম এর নিকট উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন।অন্যদিকে বালু ব্যবসার সাথে জড়িত অন্যান্যরা ব্যবসা বন্ধ করলেও অনুপ গোলদার একাই জোর পূর্বক ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সম্মেলনের মাধ্যমে তারা উর্ধতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শোলমারী ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন আকন, হরিচাদ ঢাকইদর, নারায়ন মন্ডল, রঞ্জন রায়, দিপক মন্ডল, অনিমেষ বৈরাগি, সুকৃতি রায
Leave a Reply