এইচ এম সাগর (হিরামন)খুলনা ->>
খুলনার ডুমুরিয়ায় একটি ক্লিনিকে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে ৪৩ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে পুণরায় দাফন করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার চুয়াডাঙ্গা গ্রামের হেলাল উদ্দিন গাজির সন্তান সম্ভবা স্ত্রী ইয়াসমিন খাতুনকে (২০) ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাজারস্থ হালিমা মেমোরিয়াল নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগোনিষ্ট সেন্টারে দুপুরে ভর্তি করেন। বিকাল ৫টার দিকে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ প্রসূতি মা কে অস্ত্রপচার করার পর পেট কাটা অবস্থায় এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। চিকিৎসকের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে শিশুটির নাভির কাছ থেকে পেটের চামড়া কাটা অবস্থায় নাড়িভুড়ি বের হতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর শিশুটি মারা যায়। নবজাতকের পিতাকে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন প্রলোভনে ম্যানেজ করতে চেষ্টা চালায়। নবজাতকের পিতা ৩০ সেপ্টেম্বর ডুমুরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। থানাপুলিশ ৪ অক্টোবর অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেন। এজাহারে ক্লিনিক মালিক কামাল হোসেন, চিকিৎসক বরকত উল্লাহ কথিত নার্স হালিমা খাতুনের নাম আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে মামলা থেকে রেহাই পেতে ক্লিনিক কতর্ৃপক্ষ ১৫ অক্টোবর মামলা চালাতে অপারকতা দেখিয়ে বাদিকে দিয়ে একটি নোটারি পাবলিকের এফিডেভিট স্বাক্ষর করিয়ে আদালতে জমা দেন। এরপর খুলনার অতিরিক্ত বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ‘খ’ অঞ্চল নবজাতকের লাশ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের আদেশ পেয়ে বুধবার যশোর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহমুদুল হাসানের উপস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গা গ্রামের নবজাতকের পিতার পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন শেষে যশোর ২৫০ শয্যার হাসপাতাল ময়নাতদন্ত শেষে রাতে পুণরায় দাফন সম্পন্ন করা হয় বলে নবজাতকের পিতা হেলাল উদ্দিন গাজি জানান। ডুমুরিয়া থানার উপ-সহকারি পুলিশ কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম বলেন, এজাহার ভুক্ত আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ক্লিনিকটি পূর্বের মত যথানিয়মে চলছে।
Leave a Reply