স্টাফ রিপোর্টার : দেশের অনেক হাসপাতালে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কয়েক ঠিকাদারের কালো হাতের কবলে সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাচ্ছে । একই হাসপাতালে প্রায় এক যুগ ধরে ঠিকাদার হিসাবে এরাই কাজ বাগিয়ে নিচ্ছে ।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকার মালামাল সরবরাহের কাজের যাচাই বাছাই কমিটির সভা গত রবিবার ( ২৯ নভেম্বার ) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা অনুষ্ঠিত হয়নি।
এ ব্যাপারে ডা: মুন্সী মো: রেজা সেকেন্দার বলেন, এই কমেটির সকলে উপস্থিত না থাকায় যাচাই বাচাই কমিটির সভাটি অনুষ্ঠিত হয়নি।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মালামাল সরবরাহের সরবরাহে ঠিকাদার খুলনা চেম্বারের একজন নেতার নেতৃত্বে গত প্রায় ১০ বছর ধরে এ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। তিনি এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। হাসপাতাল তার শক্তিশালী সিন্ডেকেট যুগের পর যুগ ধরেই সক্রিয়। খুলনা সদর ও শেখ আবু নাসের হাসপাতালেও প্রায় একই চিত্র । এক্ষেত্রে চক্রটি একটি বিশেষ পরিবারের নাম ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঠিকাদার জানান, দীর্ঘ এক যুগ ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি সিন্ডেকেট হাসপাতালের খাদ্য সরবরাহ , যন্ত্রপাতি সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তারা প্রায় সব টেন্ডারেই বাজার মূল্যের চেয়ে ৪-৫ গুণ বেশি দর দিয়েও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় কাজ পেয়ে যান ।
উল্লেখ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকার মালামাল সরবরাহের কাজে সিন্ডিকেটের অভিযোগের এই শিরোনামে খুলনার কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকা সহ জাতীয় পত্রিকা ও অয়ানলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
৫টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যোগসাজসে ৬টি গ্রুপের ওই কাজ ভাগবাটোয়ারা করে বাগিয়ে নিয়েছেন, এমন অভিযোগ বঞ্চিত ঠিকাদারদের। এক্ষেত্রে চক্রটি একটি বিশেষ পরিবারের নাম ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এদিকে উল্লেখিত সরবরাহের কাজে সিন্ডিকেট যে হয়নি, তা পুরোপুরি অস্বীকার করেননি খোদ খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা: মুন্সী মো: রেজা সেকেন্দার
খুলনার সাইফুল ইসলাম ট্রেড লিং ৬ টি, জামান এন্টার প্রাইজ ৫টি, রইসা এন্টারপ্রাইজ ৬ টি, রহমান ফার্মেসী ৬ টি ও তাকবীর এন্টার প্রাইজ ১ টি সিডিউল ক্রয় করেছেন। অভিযোগ রয়েছে এ ৫ টি প্রতিষ্ঠান সিন্ডিকেটের মাধ্যমে খুমেক হাসপাতালের ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ে বছরের পর বছর অধিপত্য বিস্তার করে আসছেন।
Leave a Reply