”
এস.এম নুরনবী, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
অসহায়ত্বের করুণ দৃশ্য, বর্তমানে কষ্ট এখানকার নিত্যদিনকার বিষয়।
জেলে বাঁচে মাছে, আর তিনবেলা ভাত খাওয়ার আশে।
খালের জলে জাল ফেলে,ধরে মাছ হেসে খেলে’ই জীবিকা নির্বাহ করতেন অনেক পেশাদার জেলে। কিন্তু সরকার কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার ফলে মাছ ধরতে না পারায় কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন পেশাদারী জেলে সম্প্রদায়।
পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের হাজিখালী ও চালিতাবুনিয়ার জেলেরা ব্যক্ত করেছেন তাদের কষ্টের সারিতে গাঁথা করুণ অবস্থার কথা।
চালিতাবুনিয়ার জেলে বারেক সর্দার জানান, আমি জাল পাইত্তা মাছ ধইররা বেইচ্চা সংসার চালাইতাম,কিন্তু মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাহায় এবং করোনাভাইরাসের জন্য অন্য কোনোহানে কাম কাইজ না থাহায় পরিবারের ভরণপোষণ যোগাইতে অনেক কষ্ট অয়। সরকারের ধারে মোগো দাবি মোগো যেন সাহায্য সহযোগীতা করা হয় য্যাতে মোরা পরিবার নিয়া দুইবেলা খাইতে পারি।
আরেক জেলে মোঃ নুরইসলাম শরীফ জানান, আমি জালের মাধ্যমে মাছ ধরেই পরিবারের খরচ চালাতাম, কিন্তু মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় এখন পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। আরও জানান, আমার জেলে কার্ড থাকা সত্যেও পাইনা কোনো সহায়তা। আমি প্রধানমন্ত্রীর নিকট সহায়তার দাবি জানাচ্ছি।
আরও এক দরিদ্র জেলে মোতাহার সর্দার জানান, আমি জালটাল পাইত্তাই খাইতাম, এই জালের উপ্রে ভর কইররাই সংসার চলতো। কিন্তু আমি জাল পাতার অপরাধে জালহান পুইড়া ধ্বংষ কইরা দেছে প্রশাসন। এখন আমার পরিবারের লোকজন নিয়া খুব কষ্টে আছি।
জেলেদের এরূপ দুর্দশা সম্পর্কিত বর্ণনা শুনতে চাইলে মাদারবুনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন কাজী সুজন জানান,
করোনাভাইরাসের ফলে সারাদেশে এমন হাজারো মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন। তেমনি এখানকার খেটে খাওয়া জেলেরাও মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় অন্যত্র কাজ পাচ্ছেন না। তাই তারা পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে দিনযাপন করছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জেলেদের জন্য সহায়তা ও বিশেষ করে কার্ডধারী জেলেদের কার্ডের সুফল সঠিকভাবে প্রদানের আহবান জানান।
স্থানীয় ইউপি সদস্যা ফাহিমা বেগম মুঠোফোনে জানান, জেলে সম্প্রদায়ের এমন কষ্টের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক সেবাদানের প্রক্রিয়া চলছে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জেলেদের কষ্ট লাঘবে এগিয়ে আসা ও সহায়তা প্রদানের অনুরোধ জানান।
Leave a Reply