বিশেষ প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দায়িত্বশীল বক্তব্যের বিরুদ্ধে হেফাজত ইসলামের উস্কানীমূলক বিবৃতিই প্রমাণ করে হেফাজতের নেতারা মৌলবাদের পৃষ্ঠপোষক এবং রাষ্ট্র ও সংবিধানের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে বিবৃতিতে দিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। আজ ২৮ ডিসেম্বর সোমবার বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক মো: আল মামুন স্বাক্ষরিত লিখিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতের বক্তব্যকে ইস্যু করে হেফাজতে ইসলামের উস্কানীমূলক বিবৃতির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে হেফাজতে ইসলাম আবারও প্রমাণ করেছে যে তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। আজও পর্যন্ত হেফাজতের ইসলামের কোন নেতা জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাননি। কারণ তারা এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও ভাষা আন্দোলনকে মেনে নিতে পারেননি। তাদের মাদ্রাসাগুলোতে জাতীয় পতাকা ওড়ানো হয়না এবং জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়না। তারা বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে অস্বীকার করে আসছে। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতার মাধ্যমে হেফাজতে ইসলাম নিজেদের প্রকৃত চরিত্র জাতির কাছে উন্মোচিত করেছে। এরা শান্তির ধর্ম ইসলামকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। গত এক মাসে ৪০ জন মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থী বলাৎকার ও তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাগুলোর বিষয়ে নীরবতাই প্রমাণ করে হেফাজতের নেতারা বলাৎকারের সমর্থনদাতা। এরা কখনোই ইসলামের আদর্শ ধারণ করে না। এদের কাছে ইসলাম কখনোই নিরাপদ নয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আবেগকে পুঁজি করে এরা প্রতিনিয়ত অপরাজনীতির চর্চা করছে। সম্প্রতি মামুনুল হক কর্তৃক প্রকাশ্য দিবালোকে নবীজীকে অবমাননা ও মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থী বলাৎকারকে সমর্থন করাই প্রমাণ করে যে, এরা ধর্ম ব্যবসায়ী এবং ইসলামের প্রকৃত শত্রু। ওয়াজ মাহফিলে ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানী অপশক্তিদের এজেন্ডা
Leave a Reply