মোঃ আনোয়ার হোসেন,
ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি,২১নভেম্বর ২০২০ঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নাজমুস সাদাতের বিরুদ্ধে নারী গ্রাহকের সাথে যৌনাচার অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে যৌন হয়রানির ঘটনা ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মহোদ্বয় অগ্রনী ব্যংক লিমিটেড প্রধান কার্যালয়,ঢাকা এর নিকট গ্রাহক অলোকা রানী অধিকারীর করা আবেদন প্রকাশ পেলে অগ্রনী ব্যাংকের গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায় এবং জেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে । বর্তমানে নারীদের এমন হয়রানির শিকার হবার ঘটনা প্রায়ই শোনা যাচ্ছে। যৌননিপীড়নের ঘটনার কথা অনেক সময়ই মহিলারা লোকলজ্জার ভয়ে বলতে পারেন না। কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংক শাখা হতে ২২ মে ২০২০ তারিখে যাহার হিসাব নাম্বার ০২০০০১৫২৬১৫৪৬ পয়ষট্রি হাজার টাকা কৃষিলোন পরিশোধে সুবিদা দেবার অছিলায় অশালীন আচরণ করেন অলোকা রানীর সাথে ব্যবস্থাপক নাজমুস সাদাত ৷
অলোকা রানী অধিকারীর অভিযোগে জানা গেছে, কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকের ম্যানেজার নাজমুস সাদাত গ্রাহক অলোকা রানীকে ফোন করে ব্যাংকে দেখা করতে বলেন। অলোকা রানী ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে সকালে ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে শাখা ব্যবস্থাপক নাজমুস সাদাতের কক্ষে প্রবেশ করে ফোন করার হেতু জানতে চান।তখন তার কক্ষে অবস্থানকারি অপরিচিত ব্যক্তিটিকে বাইরে যেতে ইসারা করেন এবং কাচের দরজা টেনে দিতে বলেন।পরে তিনি আমার গৃহিত ঋণ সম্পর্কে জানতে চান এবং আমি ঋণটির সঠিকতা নিয়ে সত্যায়ন করি।এরপর তিনি আমার দিকে বাজে ভাবে তাকিয়ে বলেন,মাশাল্লাহ আপনার চেহারা কিন্তু আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত।তার একথা শুনে আমি বিব্রত হয়ে উঠে পড়তে চাইলে তিনি আমাকে জোর পূর্বক বসতে বলেন এবং আমার গৃহীত ঋণনিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকেন এবং কথার এক পর্যায়ে আমার একান্ত ব্যক্তিগত এমন কিছু প্রশ্ন করেন যে প্রশ্নগুলো একজন নারীকে চরমভাবে লজ্জিত এবং বিব্রত করে।আমি মাথা নিচু করে শাখা থেকে চলে আসি।এর সপ্তাহ খানেক পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে ব্যবস্থাপক নাজমুস সাদাত আমার আড়পাড়াস্থ বাড়িতে আসেন এবং আমার সাথে তার অফিসে করা আচরনের জন্য লজ্জা প্রকাশ করতঃ আমাকে তার অফিসে দাওয়াত করে চলে যান।আমি নতুন ভাবে আবার বাজে পরিস্থিতিতে পড়তে হওয়ার ভয়ে ব্যাংকে গমন করা থেকে বিরত থাকি।সম্প্রতি গত ৬ নভেম্বর সকালে শাখা ম্যানেজার নাজমুস সাদাত আমার আড়পাড়াস্থ বাড়িতে আবারও আসেন এবং আমাকে তিনদিনের মধ্যে ঋণের টাকা শোধ করার জন্য বিভিন্ন কথা বলে চাপ দেন।আমি এত সংক্ষিপ্ত সময়ের ভেতর আমার পক্ষে ঋণ শোধ করা সম্ভব নয় বলে জানাই এবং তার কাছে আমি কিছুদিন সময় চাই।তিনি আমাকে পরদিন সকালে অফিসে দেখা করার কথা বলে চলে যান।আমি পরদিন সকালে ব্যংকের উদ্দেশে যাত্রা করি এবং ব্যংকের লোহার প্রতম গেট টপকে সিগিতে পা রাখতেই ব্যবস্থাপক নাজমুস সাদাত আমাকে পেছন থেকে ডাকেন এবং ইশারা কওে সিড়িতেই দাড়াতে বলেন।আমি মধ্য সিড়িতে(চৌতারা)দাড়াই।ব্যবস্থাপক নাজমুস সাদাত আমার সামনাসামনি এসে দাড়ালে আমি ঋণটি পরিশোধের জন্য আমাকে কিছুদিন সময় দেওয়ার জন্য তাকে অনুরোধ করলে তিনি মুচকি হাসেন এবং বলেন যে আমি যদি তাকে একটু হেল্প করি তাহলে তিনি সময়ের ব্যাপারটা ভাববেন।কি ধরনের হেল্প জানতে চাইলে ব্যবস্থাপক নাজমুস সাদাত আমাকে কু-প্রস্তাব দেন।আমাকে দেয়া তার এ কু- প্রস্তাব আমাকে অপমানিত,লজ্জিত বিব্রত করেছে এবং নারী জাতিকে চরমভাবে অপমানিত করেছে।ব্যবস্থাপক নাজমুস সাদাতের এহেন আচরন অনাকাঙ্খিত,দূর্ভাগ্যজনক,অপমানজনক ও লজ্জাজনক।নারী জাতির মর্যাদা রক্ষায় এবং কালীগঞ্জ অগ্রনী ব্যংকের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে ব্যংকের ম্যানেজার নাজমুস সাদাতের এহেন আচরনের জন্য তার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।
এ অভিযোগের বিষয়ে কালীগঞ্জ অগ্রনী ব্যংকের ম্যানেজারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,গ্রাহক অলোকা রানীকে আমি চিনিও না এবং দরখাস্তের বিষয়ে আমি কিছু জানিও না।
অভিযোগের বিষয়ে অগ্রনী ব্যংক লিমিটেড প্রধান কার্যালয়,ঢাকা এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোঃ সামস-উল- ইসলামের০১৭১৩-৪৮০১০৩ মোবাইল নাম্বারে গ্রাহক অলোকা রানী অধিকারীর করা আবেদনের বিষয়ে জানার জন্য চেষ্টা করলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।
Leave a Reply