প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী মরহুম এডভোকেট আবু আহমদ আব্দুল হাফিজ ও তার সহধর্মিণী রাজনীতিবিদ ও শিক্ষানুরাগী সৈয়দা সাহারবানু স্মরনে সিলেট নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে নগরীর ধোপাদিঘীর পারস্হ হাফিজ কমপ্লেক্সে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এ দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়। এতে মরহুম আবু হাফিজ ও সৈয়দা সাহার বানু ও পরিবারের মরহুম সকল সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশ ও জাতির সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এসময় এডভোকেট হাফিজের ছেলে মেয়ে সহ পরিবারের সকল সদস্য,আত্মীয় স্বজন সহ সমাজের সকল শ্রেণীপেশার লোকজন এতে অংশনেন।
উল্লেখ্য যে, মরহুম এডভোকেট আবু আহমদ আব্দুল হাফিজ ১৯০০ সালে সিলেট শহরের একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করে ১৯৮৫ সালে তিনি ইন্তেকাল করেন। জীবদ্দশায় তিনি ছাত্রজীবন থেকে মৃত্যুকাল পর্যন্ত বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে রাজনীতি,শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন। এডভোকেট আবু হাফিজ মুসলিমলীগ বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের প্রতিষ্ঠিতা সাধারন সম্পাদক,সিলেট রেফারেন্ডাম বোর্ডের সাধারন সম্পাদক,সিলেট ল কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও দীর্ঘকাল এর প্রেন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বহুবার সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁরই সহ ধর্মিণী সৈয়দা সাহারবানু তৎকালীন সময়ে সিলেট অঞ্চলে নারী নেতৃত্বের অগ্রদূত ছিলেন।
তিনি তখনকার সময়ে সিলেট শহরে অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার সাথে জড়িত ছিলেন,এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের দায়িত্ব তিনি আমৃত্যু পালন করেন। তিনি দীর্ঘদিন মহিলা মুসলিম লীগ সিলেট অঞ্চলের প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতির দায়িত্ব ও পালন করেন। বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের রত্নগর্ভা পিতা ও মাতা হিসেবে সিকৃত এডভোকেট আবু হাফিজ ও তাঁর সহধর্মিণী সৈয়দা সাহারবানু ৭ ছেলে ও ৬ মেয়ের জনক ও জননী ছিলেন। তাদের প্রতিটি ছেলে ও মেয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি দেশ ও বিদেশে স্ব স্ব কর্মে সফলতার উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন। তাদের ছেলেদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ও অর্থমন্ত্রী আবল মাল আবদুল মুহিত,সাবেক কুটনৈতিক বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড,এ কে আব্দুল মুমিন এমপি। বড় ছেলে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ছিলেন। এক ছেলে ড,এ কে মুবিন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ও ন্যাশনাল টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। অন্য ছেলে এ এস এ মুয়িয সুজন বর্তমানে বাংলাদেশ পল্লী শিশু ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন,এরআগে তিনি সরকারী বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তাদের মেয়েদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিকিৎসক জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ সাহলা খাতুন,আরেক মেয়ে শিফা হাফিজ ব্রাকের সাবেক পরিচালক ছিলেন। তাদের বাকি ছেলে মেয়েরা দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন পেশায় উচ্চ পর্যায়ে নিয়োজিত রয়েছেন।
Leave a Reply