আবু ইউসুফ নিজস্ব নিউজ রুম।
ইউনুস বাবুর মা রাকিব ও শাহীন কে আসামী করে থানায় মামলা ফেনী শহরের পাঠানবাড়ী এলাকার শফিকুর রহমান ভ‚ঞা সড়কের তাসপিয়া ভবনের সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে গত শনিবার রাত ১১টার দিকে মোঃ ইউনুছ বাবু (২২) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ইউনুস বাবুর মা রেজিয়া বেগম বাদী হয়ে রবিবার সকালে দু’জনকে আসামী করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ইউনুস বাবু স্কলারশীপ নিয়ে চীনে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছিল। করোনাকালীন সময় তিনি দেশে আসেন। ইউনুস বাবুর লাশ উদ্ধারে পুলিশের অবহেলাকে দায়ী করছেন তার মা ।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো: আলমগীর হোসেন লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই ভবনে গিয়ে সেফটি ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তার মা রেজিয়া বেগম বাদী হয়ে কদলগাজী রোডস্থ রেনু হাজারী বাড়ীর নুর আলমের ছেলে ইউনুস নবী রাকিব (২৪) ও তাসপিয়া ভবনের কেয়ারটেকার দাগনভ‚ঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ জায়লস্কর গ্রামের ফকির হাফেজ বাড়ীর মো: সেলিমের ছেলে মোজাম্মেল হক শাহীন (২৪) এর নাম উল্লেখ করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এর আগে শুক্রবার সকালে ওই ভবনের সেফটি ট্যাংক থেকে ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের আমান উদ্দিন ভূঞা বাড়ীর বাসিন্দা মো: শাহরিয়ারকে আহত অবস্থায়
উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভবনটির কেয়ারটেকার মোজাম্মেল হক শাহীনকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন শনিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালতে হাজির করে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিকাশ চক্রবর্তী। শাহীন সেফটি ট্যাংকে বাবুর লাশ থাকার বিষয়টি গোপন রেখে কৌশলে আদালতে ১৬৪ ধারায়
জবানবন্দি প্রদান করে। এদিকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শাহিন মুখ খোলেনি। সেফটি ট্যাংকে ইউনুস বাবুর লাশ রয়েছে এসব বিষয়ে কোন তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। শাহীনের কাছ থেকে তথ্য উদঘাটন করতে পারলে ওইদিন আহত শাহরিয়ারের সাথে বাবুকেও উদ্ধার করা সম্ভব হতো। এ নিয়ে পুলিশের তদন্ত অবহেলাকে দায়ী করছে পরিবার। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটারর দিকে তাসপিয়া ভবনের মালিকের স্ত্রী নামাজ পড়তে উঠলে নিচতলায় আওয়াজ শুনে দরজা খুলে বাইরে গিয়ে তিনি দেখতে পান ভবনের কেয়ারটেকার মেঝেতে পড়ে থাকা রক্ত পরিষ্কার করছে। বিষয়টি তিনি পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা নিচে নেমে শুনতে পান ভবনের
সেফটি ট্যাংকের ভেতর হতে গোঙানির আওয়াজ বের হচ্ছে। ট্যাংকের মুখ খুললে দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবক পড়ে আছে। তারা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে। মামলা তদন্তের দায়িত্বভার এসআই বিকাশ চক্রবর্তী থেকে মামলাটি শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সুদ্বীপ রায়কে দেয়া হয়। মামলা তদন্ত কর্মকর্তা ও শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সুদ্বীপ রায় জানান, এ ঘটনায় কেয়ারটেকার শাহিন ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে শনিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। ইউনুস বাবুর হত্যা ঘটনায় তাকে রিমান্ডোর আয়োজন করা হয়েছে। অপর আসামীকে গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
Leave a Reply