শুক্রবার ২ অক্টোবর ২০২০
শরীয়তপুর প্রতিনিধি – >>
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় পারিবারিকভাবে বিয়ের স্বীকৃতি না পেয়ে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করা প্রেমিকযুগলের মধ্যে প্রেমিকা মারা গেছে। দুই পরিবারের লোকজন সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় প্রেমিক-প্রেমিকা বিষপান করেছেন জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে জাজিরা থানাধীন পদ্মা সেতু প্রজেক্ট চায়না ক্যাম্পের এলাকা থেকে এই যুগলকে উদ্ধার করা হয়।
মৃত (প্রেমিকা) আজিজা আক্তার (১৮) জাজিরা উপজেলার বিকেনগর ইউনিয়নের ছোবাহানন্দি মাদবরেরকান্দি গ্রামের আয়নাল মোল্লার মেয়ে ও বিকেনগর বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আর প্রেমিক রুবেল বাগচি (২০) গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার নইয়ারবাড়ি গ্রামের নিখিল বাগচির ছেলে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য (প্রেমিক) রুবেলের বন্ধু গোপালঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার গৌতম বাড়ৈ ও মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার শশিকর গ্রামের মৃত তুরিপদ বাড়ৈর ছেলে বাবুল লাল বাড়ৈকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে রুবেল জাজিরা উপজেলার বিকেনগর ছোবাহানন্দি মাদবরেরকান্দি গ্রামের আয়নাল মোল্লার বাড়িতে কাঠমিস্ত্রির কাজ করতে আসেন। পরে আয়নাল মোল্লার মেয়ে আজিজার সঙ্গে রুবেল বাগচির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এরপর আগস্ট মাসে উভয় পরিবারের লোকজন তাদের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি টের পায়। পরে ছেলেটি হিন্দু ও মেয়ে মুসলিম হওয়ায় কোন পরিবার তাদের স্বীকৃতি দেয় না। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে রুবেল মোক্তারপুর থেকে বিকেনগর ইউনিয়নের ছোবাহানন্দি মাদবরেরকান্দি গ্রামে আজিজার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। পরে সারাদিন ঘুরে রাতে পদ্মা সেতু প্রজেক্ট এলাকার একটি গাছের নিচে বসে রুবেল-আজিজা বিষপান করেন।
প্রেমিক রুবেল বাগচি জানিয়েছে, আজিজার সঙ্গে আমার আট মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক হলেও সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবার। তাই তারা বিষপানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
এ বিষয়ে জাজিরা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মিন্টু মন্ডল বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে রুবেল বাগচিকে অজ্ঞান এবং আজিজা আক্তারকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে রুবেলকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর আজিজার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনও কোনো পরিবার অভিযোগ করেনি।
Leave a Reply